** সুজন শান্তনু **
কস্তুরী হরিণী মেয়ে, কী সুখে অমন সুবাস বিলিয়ে গেলে?
আমাকে উন্মাতাল করে মিশে গেলে কোন বাতাসে?
এখন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
সারা প্রহর কী এক মিষ্টি যন্ত্রণায় তোমার সুগন্ধে লেলিয়ে পড়ি।
হেলানো লতা যেমন রৌদ্রের গন্ধ খোঁজে
তৃষিত চাতক খোঁজে মেঘলা বর্ষণ
তেমনি তোমার গন্ধে খুঁজি শরীরী বিলাস।
কোথায় তুমি প্রিয়া? ওগো আর কত অশ্রæ সিঞ্চন হলে
কতটুকু রক্তক্ষরণ এ বুকে জমাট বাঁধলে আর কত
ঈপ্সিত মুহূর্তের তিতিক্ষার পরে একদিন তুমি নেতিয়ে দিবে মৃগনাভি?
ডাহুকের দল যেমন নিবিড় কুঞ্জ খোঁজে
বানডাকা ছাগী খোঁজে রক্তিম সঙ্গম
তেমনি তোমার গন্ধে খুঁজি আদিম সাম্যবাদ।
আমি চিরকুমার থেকে যাবো যদি তোমাকে না পাই
আর খাণ্ডব দাহন হবে আমার দেবদাস মনে।
নিয়তির অমোঘ লীলায় কখনো যদি আমার স্মৃতিশক্তি লোপ পায়
তখনো তোমার গন্ধে আমার মতিভ্রম হবে।
এমনও তো হতে পারে, সেদিন তোমার গন্ধ ভেবে আমার
নচ্ছার নাক শুঁকে নিবে গন্ধগোকুলের গতর।
আর নির্লিপ্ত ঠোঁট রচনা করবে চুম্বনের নষ্ট উপাখ্যান।
বড়ই দুর্বিষহ হবে সেই ঘৃণ্য নষ্টামি; তাই না?
কস্তুরি হরিণী মেয়ে, দোহাই সেই দুঃসময় আসার আগে
তুমি আমাকে ভালোবাসো!
মহাকালের তৃষ্ণার্ত পথিক তপ্ত মরুর পথে যেমন সে চোখে দ্যাখে
মসৃণ মরীচিকা আর তার টগবগে মগজ খোঁজে আহ্নিক ছায়া
তেমনি আমার খোঁজে ছুটে আসো প্রিয়া;
অন্তত সেই দুঃসময় আসার আগে-
নেতিয়ে দাও মৃগনাভির সুবাস আর তোমার গন্ধে জ্বালো
মহা আসক্তির প্রেম-গন্ধক।