সাংস্কৃতিক আয়োজনে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের শুরু

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে এক ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাইফুল্লাহ মানসুরের উপস্থাপনায় এবং সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশের প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
সাত দফা দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলসহকারে দলে দলে জড়ো হতে থাকেন জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সমাবেশ শুরুর ঘণ্টা ছয়েক আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যানের বাইরে রাস্তাজুড়েও অবস্থান করছেন হাজারো নেতা-কর্মী।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ নানা মাধ্যমে ঢাকায় এসে স্লোগান ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন অংশগ্রহণকারীরা। কারো হাতে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা, অনেকে পরেছেন দলীয় মনোগ্রাম খচিত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি।
নোয়াখালী থেকে আসা জামায়াতকর্মী সোহেল হাসান জানান, তাদের উপজেলা থেকে প্রায় ৪০টি বাস ও বিভিন্ন মাধ্যমে অন্তত ৩০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা এরশাদ আলী বলেন, ট্রেন ও বাসে তারা প্রায় ৩০-৪০ হাজার কর্মী নিয়ে সমাবেশে এসেছেন। অনেকে শুক্রবার রাত থেকেই উদ্যানে অবস্থান করছেন বলে জানান তারা।
আরো পড়ুন : সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত
সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে ২০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক রাজধানীজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন। হাইকোর্ট, শাহবাগ, মৎস্য ভবনসহ আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবকরা সমাবেশস্থলে আগতদের গেট ও আসনবিন্যাসে সহযোগিতা করছেন। শুধু উদ্যানে নয়, আশপাশেই ছয় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রধান মাসুদুর রহমান।
ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। দেশের স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সমাবেশের মূল লক্ষ্য সাত দফা দাবি আদায়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সব গণহত্যার বিচার, মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
দলের নেতাদের দাবি, গণতন্ত্রের দাবিতে এই সমাবেশ নতুন যুগের বার্তা দেবে।