রাজকীয় ক্ষমা পেলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫২ এএম

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্যারলে রাজকীয় ক্ষমা পেয়েছেন। থাকসিনের মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার একদিন পর এ ক্ষমা পেলেন তিনি। শনিবার (১৭ আগস্ট) তার আইনজীবী এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্সের।
থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যান তিনি। এর পর গত আগস্টে নাটকীয়ভাবে দেশে ফেরত আসেন। আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার ও অন্যান্য অভিযোগে তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। এর আগে, স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ছয় মাস হাসপাতালে ছিলেন। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে হাজির করে পুলিশ।
তারপর থেকে প্রায় দুই দশক ধরে সিনাওয়াত্রা পরিবার ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে রাজানুগত, সামরিক বাহিনীর জেনারেল ও পুরনো ধনী পরিবারগুলোর এক চক্রের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছিল। থাকসিন ছিলেন এই ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে। রাজানুগত, সামরিক বাহিনীর জেনারেল ও পুরনো ধনী পরিবারগুলোর চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে থাইল্যান্ডের সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে।
আরো পড়ুন: ক্লাসরুমেই ছাত্রীকে আপত্তিকর ভিডিও দেখালেন শিক্ষক, অতঃপর...
গত সেপ্টেম্বরেই তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে এক বছর করেছিলেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। গত মাসে রাজার জন্মদিন উপলক্ষ্যে যে বন্দিদের রাজকীয় ক্ষমা করা হয়েছে তাদের মধ্যে থাকসিনও আছেন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
ফেব্রুয়ারিতে মঞ্জুর করা প্যারল অনুযায়ী থাকসিনের সাজার মেয়াদ চলতি মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাজকীয় ক্ষমা পাওয়ায় রবিবারই তার সাজার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।
২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছিলেন থাকসিন। দেশটির অভিজাত শাসকদের অবহেলার শিকার গ্রামীণ ভোটারদের মধ্যে আবেদন তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। পাঁচ বছর পর নির্বাচনের আবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি কিন্তু ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় দেশে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নিলে পদ হারান তিনি।
গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে আইনপ্রণেতারা থাকসিনের মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে (৩৭) দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন। পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী এবং তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার (২০১১-২০১৪) পর তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।