ছাত্রলীগের বিবৃতি প্রচার নিষিদ্ধ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ২০-এর ১ ধারা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচারণা নেয়া নিষিদ্ধ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ২০-এর ১-এর ঙ ধারা অনুসারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ অতীতে বিভিন্ন ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে। সরকারের কাছে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৫ আগস্টের পরেও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। সেহেতু ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এ পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়বে এবং সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।