শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মীর মামলা, নেপথ্য কারণ জানা গেল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামে মিথ্যা মামলার ঘটনায় আতঙ্ক, থামছে না মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনা। সরকারের কঠোর নির্দেশনা এবং অবস্থানের পরেও এই ধরনের মামলা অব্যাহত রয়েছে। এবার, এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ডবলমুরিং থানায়, যদিও তিনি ওই সময় ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একইভাবে, ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় মামলার সম্মুখীন হয়েছেন। দুইটি মামলার বিষয়েই অভিযোগকারীরা বিস্মিত হয়েছেন, এমনকি যুবলীগের এক কর্মী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। এসব ঘটনায় চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, বিশেষ করে যারা মিথ্যা মামলায় জড়িত হয়ে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে রয়েছেন।
গত ২০ নভেম্বর ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মোহাম্মদ মানিক নামে এক ব্যক্তি। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক দুই সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ ১০৮ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ৫ আগস্ট বিকাল ৫টায় মনসুরাবাদ মাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়েছেন। বিশেষ করে, ৩৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে মোহাম্মদ এয়াকুব নামে এক ব্যক্তিকে, যিনি সরকারি কর্মকর্তা এবং সিবিএ নেতা।
এয়াকুবের পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ১ আগস্ট চেন্নাই গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য এবং ৭ আগস্ট দেশে ফিরেছেন। মামলার বাদীর দেয়া মোবাইল নম্বরেও কিছু অসঙ্গতি রয়েছে, যা সন্দেহের সৃষ্টি করছে। এয়াকুব মনে করেন, তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে, কোতোয়ালি থানার মামলায় ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী নাসিরুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৯ আগস্ট কাজী মোহাম্মদ সোহেল নামে এক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৮৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাসিরুল আলম দাবি করেছেন, তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন এবং তার দেশে ফেরার পর এলাকার জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের কারণে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
এছাড়া, যুবলীগের কর্মী কফিল উদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে এবং তিনি একাধিকবার কারাগারে গেছেন। এই মামলায় চট্টগ্রামে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ঘটনা চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম সফরে মিথ্যা মামলা দায়ের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আগে পুলিশ ভুয়া মামলা করত, এখন ভুয়া মামলা করছে পাবলিক।