হিন্দু পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করা অযৌক্তিক, তাকে মুক্তি দিতে হবে : শেখ হাসিনা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রামে হিন্দু ধর্মীয় ইসকন প্রতিষ্ঠানের নেতাকে আটক করা "অযৌক্তিক" এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন। এরসঙ্গেও তিনি উল্লেখ করেন, সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের এক শীর্ষ নেতা অবিচারে আটক হয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতা অবিচারে আটক হয়েছেন, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে একটি মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে আহমদী কমিউনিটির মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ ও বাড়িঘর আক্রমণ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং আগুন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।
বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থনীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর এই অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাই।
শেখ হাসিনা অন্তবর্তীকালীন সরকারের নানান সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রামে এক আইনজীবীর মৃত্যু নিয়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনা নিয়ে। তিনি আরো সতর্ক করে বলেন, যদি অন্তবর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শাস্তিযোগ্য হবে।
সাবকে প্রধানমত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রামে এক আইনজীবীর হত্যা হয়েছে, আমি এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া উচিত। এই ঘটনায় মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন, আর সন্ত্রাসী দ্বারা তাকে হত্যা করা হয়। তারা যেই হোক, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের সংকটের জন্য ইউনুস সরকারকে দায়ী করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মী, ছাত্র, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার পর, এখন আক্রমণ ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এই অরাজকতামূলক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সূত্র : এনডিটিভি