ভাবিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি থেকে
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম

অভিযুক্ত বাহাদুর তালুকদার। ছবি: ভোরের কাগজ
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে দেবরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন হৃদয় ওরফে বাহাদুর তালুকদার (২৮), সাগর তালুকদার (২২), সেলিম তালুকদার (৫০) ও মোসা. শারমিন সুলতানা (২৫)। ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর সাথে তারাবুনিয়া গ্রামের সেলিম তালুকদারের ছেলে সুমন ওরফে রাজু তালুকদারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর রাজু মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর থেকেই রাজুর বড় ভাই বাহাদুর তালুকদার ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতে শুরু করেন। একদিন গভীর রাতে বাসার ছাদে গিয়ে বাহাদুর তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী বিষয়টি তার স্বামী ও মাকে জানান।
এছাড়া, রাজু মালয়েশিয়ায় চলে যাওয়ার পর থেকে তার বাবা সেলিম তালুকদার ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য ভুক্তভোগীর ওপর চাপ দিতে থাকেন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ এক পর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে গেলে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে তাকে পুনরায় শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এর কিছুদিন পর রাতের বেলা অভিযুক্তরা তার রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ সময় ভুক্তভোগী মোবাইল ফোনে তার স্বামী ও মাকে বিষয়টি জানান। স্বামী রাজু তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন: মনপুরায় মা ইলিশ ধরা বন্ধে সভা
অভিযুক্ত বাহাদুর তালুকদার দাবি করেন, ঘটনার রাতে বাবা রাজুর স্ত্রীকে দরজা খুলতে বললেও সে দরজা খোলেননি। ফলে আমরা দরজা ভেঙেছি, এরপর পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত সেলিম তালুকদার বলেন, আমার পুত্রবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, তখন আমরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেছি। এর বাইরে অন্য কোন ঘটনা ঘটেনি।