বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ভোলার লালমোহনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, সোমবার ভোরে বদরপুর ইউনিয়নের বিএনপির (উত্তর) সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার গ্রুপ ও সাবেক বিএনপির নেতা মো. কামাল হুইচ গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে শহিদুল্যাহ মেলকারের লোকজন দাঁড়ালো অস্ত্র নিয়ে কামাল গ্রুপকে আক্রমণ করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন।
দেবিরচর বাজারের সাবেক বিএনপির নেতা কামাল হুইচ জানান, গত ৫ আগস্টের পর শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন দেবিরচর এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি শুরু করেন। এলাকার নুর ইসলামের কাছ থেকে শহিদুল্যাহ মেলকার পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেন। এর প্রতিবাদ করলে শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন কামালের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। পরে বিএনপির উপজেলা নেতৃবৃন্দ দুপক্ষকে মিলিয়ে দেয় ও চাঁদার টাকা উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জমা দেয়। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার বিরোধ তৈরি হয়।
আরো পড়ুন : চট্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ অনেকে
তিনি জানান, দেবিরচর বাজার ইজারাদার আসাদ মেলকার থেকে বাজারের খাজনা উঠানোর ইজারা কিনে নেন। শহিদুল্যাহ মেলকার বাজারের খাজনা উঠাতে বাধা ও হুমকি-ধামকি দেন। বিষয়টি তিনি জানার পর রবিবার রাতে লালমোহন থানায় অবহিত করেন।
সোমবার সকালে শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন কামালের লোকজনের ওপর হামলা করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক লালমোহন থানা ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসার আগেই দুপক্ষের মধ্যে মারামারিতে মনজু হাওলাদার, রশিদ হাওলাদার, হাচান কবিরসহ অনেকে গুরুতর আহত হয়। তাদের লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, দেবিরচর বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে মূলত অনেকদিন পর্যন্ত সমস্যা চলছিল। বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের মীমাংসা করার একাধিকবার চেষ্টা করেছে। এটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।