আজ হাসপাতাল থেকে তারেক রহমানের বাসায় যাবেন খালেদা জিয়া

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ এএম

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে বাসায় ফিরতে পারেন বেগম জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে লন্ডনের দ্য লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার নতুন করে আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সেসব রিপোর্ট পাওয়া গেলে খালেদা জিয়ার ছুটি হতে পারে। তিনি পরবর্তীতে বাসা থেকে নিয়মিত চিকিৎসা নিবেন।
ডা. জাহিদ বলেন, শুক্রবার ( ২৪ জানুয়ারি) উনার ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ডাক্তাররা উনাকে ছুটি দেন। আজকেও একজন চিকিৎসক উনার পরীক্ষা করার জন্য লিখেছেন। সে পরীক্ষাগুলো আমরা কাল করাবো। রিপোর্টে যদি সব ঠিক থাকে তাহলে সন্ধ্যার দিকে উনাকে ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি সার্বক্ষণিকভাবে প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি ও জেনিপার ক্রসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকবেন।
আরো পড়ুন : আরেক মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
ডা. বলেন, গত ১৭ দিনে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়েছে। দুই একটি রিপোর্ট এখনো আসেনি। কয়েকটি পরীক্ষা এখানেও হয় না। সেগুলো বাহির থেকে করাতে হয়। খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে আগের চেয়ে অনেকটা বেটার আছেন।
খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, উনার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। কারণ উনার বয়সটা একটা বিবেচ্য বিষয়। তাছাড়া জেলে রেখে উনাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তখন উনাকে বিদেশে নিয়ে আসা গেলে আরো হয়ত দ্রুত সুস্থ করা যেতো। এখন আমাদের চিকিৎসকদের বক্তব্য হচ্ছে আগে হলে হয়ত উনার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা যেতো।
গত ৮ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি লিভার, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসহ নানা রোগে ভুগছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।