পাওয়া গেল রাস্তায় পরিত্যক্ত ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির মালিকের পরিচয়

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০১:০২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সড়কে ফেলে রাখা বিলাসবহুল একটি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির মালিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী, গাড়িটি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামালের নামে নিবন্ধিত। রবিবার (১৮ আগস্ট) কাল থেকে আনুমানিক ২ কোটি টাকা মূল্যের গাড়িটি ধানমন্ডির একটি রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরবর্তীতে সোমবার ভোরে একটি র্যাকার গাড়ির সাহায্যে এটিকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী, ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নামে নিবন্ধিত। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৮৪৫৬ এবং টিআইএন নম্বর ৫১১১১১২৫৫০৫৬।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রবিবার সকাল থেকে গাড়িটি ধানমন্ডির বাইতুল আমান মসজিদের সামনের রাস্তায় আনলক অবস্থায় পড়ে ছিল। গাড়ির মালিকের খোঁজ না পেয়ে আশেপাশের মানুষের সন্দেহ হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন রকম আলোচনা। পরে নথি ও ছবির মাধ্যমে অনেকে নিশ্চিত হন যে গাড়িটির মালিক সাবেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন, এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট অনুযায়ী, এটি ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বিআরটিএর মিরপুর অফিস থেকে নিবন্ধিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গাড়িটির ফিটনেস মেয়াদ রয়েছে ২০২৭ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া, আয়কর নথি অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয়কর হিসেবে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বর্তমানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত করছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে তিনি দেশীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কোনো লেনদেন করতে না পারেন।
আরো পড়ুন: সিদ্ধেশ্বরী স্কুলের সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই তার দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আত্মগোপনে চলে যেতে শুরু করেন। প্রশাসনে আসে ব্যাপক রদবদল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ইউনূস।