চট্টগ্রাম নগরী
টানা বৃষ্টিতে জলজটের দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি : ভোরের কাগজ
চট্টগ্রামে গত ৪ দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে ডুবে গেছে নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকা। গতকাল মঙ্গলবারও দিনভর কখনো মুষলধারে আবার কখনো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ঝরতে থাকে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। আরো দুই দিন ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন নিচু এলাকার সড়ক ও অলিগলি হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। আবার কিছু কিছু এলাকায় কোমরসমান পানি। জলাবদ্ধতার কারণে নগরের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য লোকজনকে নৌকা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহরসহ আরো বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এসব এলাকায় নিচতলার বাসা, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। ভারি বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়েন অভিভাবকরা। একই সঙ্গে অফিসগামী যাত্রীরাও পড়েন বিপাকে। নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে গাড়ির সংখ্যাও কম। কোমরসমান পানি থাকার কারণে মুরাদপুর বহদ্দারহাট সড়ক, চকবাজার মুরাদপুর সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের উভয় পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলার মিরসরাই, সাতকানিয়া, পটিয়া, আনোয়রা, চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়ার অনেক স্থান প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, রোপা আমনের আবাদ, মাছের ঘের ও পুকুর।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া ভোরের কাগজকে বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। লঘুচাপ সক্রিয় থাকায় সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কমপক্ষে আরো দুই দিন এমন ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও পাহাড় ধসেরও আশঙ্কাও রয়েছে।