তিতাসে প্রবাসীকে হত্যা

হালিম সৈকত, কুমিল্লা
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
তিতাসে ওমরপুর গ্রামের সোবাহান ভুইয়ার ছেলে কুয়েত প্রবাসী স্বপন ভুইয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের একটি গ্রুপ। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামে। জানা যায়, ওমরপুরস্থ ভুইয়া বাড়ী সংলগ্ন মো. জাকির হোসেনের দোকানের সামনে রাস্তায় গত ৩১ অক্টোবর আনুমানিক রাত ১০টায় ডেকে এনে বেদম প্রহারের মাধ্যমে স্বপনকে আহত করে একদল বখাটে যুবক।
আহত স্বপনকে প্রথমে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সবশেষে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। ১৩ দিন পর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ১২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় মারা যায় স্বপন ভুইয়া।
জানা যায়, কিশোর গ্যাং গ্রুপটি স্বপনের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ডেকে এনে মাদকের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। চার দফায় তাকে মারাধর করা হয়। এর আগে দুইবার স্বপনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে আসিফগংরা জানান স্বপনের চাচা জাকির হোসেন।
আরো পড়ুন: বাবা কারাগারে, মা হারা চার শিশুকে দেখভালের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি জানান, আমার দোকানের সামনেই তাকে খুব প্রহার করেছে। আমি বাঁচাতে পারিনি কারণ আমি একা। বাঁধা দিলে আমার দোকানে লুটপাট হতো। স্বপনের ৭ বছরের একটা ছেলে রয়েছে, তার স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বর্তমানে প্রেগন্যান্ট। কিছুদিন পর যে শিশুটি পৃথিবীতে আসবে, জন্মের পূর্বেই সে এতিম হয়ে গেলো।
ওমরপুর গ্রামের মো. নবী ভুইয়া জানান, ক্লাবের নাম করে খেলা, পিকনিক ও পার্টির জন্য বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করাই ছিলো এই গ্যাংয়ের মূল কাজ। তাছাড়া তারা প্রত্যকে মাদকাসক্ত। কিশোর গ্যাং সদস্যদের মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছে ওমরপুর গ্রামের শান্তি মিয়ার ছেলে আসিফ। তার সঙ্গে ছিলো সাইদুল, রাহিম বাবু, সাইদুল, শাকিল, ইমনসহ ৫০-৬০ জন।
এ বিষয়ে স্বপনের বোন আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামী করে তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।