রাণীনগরে ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২২, ০৪:১০ পিএম

বৃহস্পতিবার-শুক্রবার পর পর দুই রাতের ঝড়ের তাণ্ডবে নওগাঁর রাণীনগরে ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়ে যায়। ছবি: ভোরের কাগজ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি। গত দুই রাতে উপজেলার কামতা, হাড়াইল, শংকরপুর ও খট্টেশ্বর গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এসব ঘরবাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন এসব ঘরবাড়ির মালিকরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে উপজেলায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এই দুই রাতের ঝড়ে মুহূর্তেই উপজেলার কামতা, হাড়াইল হিন্দুপাড়া, শংকরপুর ও খট্টেশ্বর গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। আবার কারও কারও মাটির বাড়ি ও বাড়ির প্রাচীর ঝড়ে ভেঙে গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজারে দোকানপাটও লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার হাড়াইল হিন্দুপাড়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র জানান, ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ঝড়ে আমার একতলা বাড়ির টিনের চালা পুরোটাই উড়ে গিয়ে সম্পূর্ণ টিন নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে অন্যের বাড়িতে থেকে ঘরবাড়ি ঠিক করা শুরু করেছি।
তিনি আরও জানান, শুধু আমার বাড়ি না গ্রামের অনেকের ঘর বাড়ি এভাবে ঝড়ে নষ্ট হয়েছে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, বাড়িতে একমোটো খাবারের কিছু নেই। এরপরেও এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কোন খোঁজখবরও নেননি।
ক্ষতিগ্রস্ত কামতা গ্রামের আব্দুল মজিদ জানান, ঝড়ে আমার বাড়ির সব টিন উড়ে গেছে। এছাড়া বাড়ির প্রাচীর ও গরুর ঘরের চাল উড়ে যায় গিয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
সদরের খট্টেশ্বর গ্রামের মোজাম্মেল সরদার জানান, এই ঝড়ের তাণ্ডবে আমার বাড়ির টিনের চালাসহ বাড়ির বারান্দার চালা উড়ে যায়। এতে করে আমার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদত হুসেইন বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝে নগদ অর্থ ও টিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।