নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী (ভিডিও)

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১৬ পিএম

নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত বাউফল-দশমিনা উপজেলা নারী সদস্য পদে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন প্রার্থী মোসা. রুবিনা আক্তার। সোমবার ( ১৭ অক্টোবর ) রাত ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রার্থীর টাকা চাওয়ার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহুর্তে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, ভোটে নারী সংরক্ষিত সদস্য পদে দোয়াত কলম প্রতীকে কামরুন নাহার, হরিণ প্রতীকে পশারী রানী, টেবিলঘড়ি প্রতীকে ফাতেমা আলম ও ফুটবল প্রতিকে মো. রুবিনা আক্তার অংশ নেন।
এবারের ভোটে দোয়াত কলম প্রতীক কামরুন নাহার ১৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হরিণ প্রতীকে পশারী রানী পেয়েছেন ১২০ ভোট। অপর দিকে ফুটবল প্রতীকে রুবিনা আক্তার পেয়েছেন ৩৬ ভোট। কিন্তু আরেক প্রার্থী টেবিলঘড়ি প্রতীকের ফাতেমা আলম একটি ভোটও পাননি।
ভিডিওতে দেখা যায়, রুবিনা আক্তার বলেন, ‘আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভোটারদের ২ হাজার করে টাকা দিয়েছি। তারা টাকা নেওয়ার সময় আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল আমাকে ভোট দিবে। কিন্ত তারা অনেকেই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা আমাকে ভোট দেয়নি তারা অনেকেই আমাকে টাকা ফেরত দিয়েছে। তারা বলেছে আপা আপনি মন খারাপ কইরেন না। আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি। কিন্তু এই মেম্বার (ইউপি সদস্য) আমাকে টাকা ফেরত দিতে দিচ্ছে না। বরং অপমান করছে।’ তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ওই মেম্বারকে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক ভোটার জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এই প্রার্থী দিয়েছেন দুই হাজার টাকা। সে কিভাবে ভোট পায়। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার রুবিনা আক্তারকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন অবৈধ। এ বিষয়ে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়। তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
https://www.youtube.com/watch?v=VFbbut-KR08