ভৈরবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় পাক সেনারা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১৮ এএম

ফাইল ছবি
আজ ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে পরাজিত হয়ে কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে পালিয়ে আসে পাক হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে বাঁচতে ডিনামাইড দিয়ে ভেঙে দেয় মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলসেতুটি। এদিন ভৈরবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় পাক সেনারা।
এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাজিত হয় পাকসেনারা। সেসব জায়গায় থেকে পালিয়ে এসে প্রায় ১০ হাজার পাকসেনা ভৈরব শহরে অবস্থান নেয়।
এ সময় তারা ভেবেছিল রেলসেতুটি ভেঙে দিলে মিত্রবাহিনী ভৈরবে আসতে পারবে না। ১৩ ডিসেম্বর শুধু রেলসেতু ধ্বংসের পর ভৈরবের সোনালী ব্যাংকের (তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংক) ট্রেজারির সিন্দুক ভেঙে টাকা-পয়সা লুটপাট করে হানাদার বাহিনী।
এছাড়া ভৈরবের টেলিফোন একচেঞ্জ, বিদ্যুৎ অফিস, রেলওয়ে কন্ট্রোল রুম, রেলস্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা।১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় ঘোষণা হলেও সেতুটি ধ্বংসের কারণে প্রায় দুই বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকে। ১৯৭৩ সালে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হালিম বীর বিক্রমের নামানুসারে সেতুটির নামকরণ হয় শহীদ হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু।