অপরিপক্ব মৌসুমি ফলে সয়লাব ঝিকরগাছা!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ১১:৩৯ এএম

ছবি: আতাউর রহমান জসি, ঝিকরগাছা (যশোর)

ছবি: আতাউর রহমান জসি, ঝিকরগাছা (যশোর)
সামনে আসছে মধুমাস জৈষ্ঠ্য। বৈশাখ মাসের শুরুতেই যশোরের ঝিকরগাছা বাজারে আসতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস ও তরমুজসহ বিভিন্ন জাতের ফল। মৌসুমি এসব ফল নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে অর্থাৎ পরিপক্ব না হতেই মৌসুমি ফল বাজারে আসতে শুরু করায় ফল ক্রেতাদের মধ্যে এই ভীতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বাজারের যে আম এসেছে তা এখনও খাওয়ার উপযোগী হয়নি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অপরিপক্ব হিমসাগর ও গোবিন্দভোগ আম রাসায়নিক পদার্থ কার্বাইড মিশিয়ে পাকানো হচ্ছে।
বুধবার ঝিকরগাছা পৌরসদরের ফলপট্টি, কাঁচাবাজার, মুদিপট্টির ফলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ২/৩জাতের আম বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আমের প্রতি ক্রেতাদেরও বেশ চাহিদা রয়েছে। দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখা আম। কিন্তু, দূর থেকে দেখলেই বোঝার বাকি থাকে না এসব আম অপরিপক্ব। রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে পাকানোর পর এই আম বিক্রি করা হচ্ছে। এসব আম জাতভেদে ২/৩শ' টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
[caption id="attachment_429426" align="alignnone" width="1600"]
এছাড়াও শহরে ফল দোকানগুলোতে মৌসুমি অন্যান্য ফলের মধ্যে লিচুর চাহিদা রয়েছে বেশ। সুস্বাদু এই ফল কিনছেন ক্রেতারা। প্রতি একশত পিছ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২শ থেকে আড়াইশ টাকা দরে। যা এখনও পরিপক্ব হয়ে উঠিনি।
বেশ কয়েকজন আম ও লিচু ক্রেতা জানান, বাজারে মৌসুমি ফল এলেই মানুষের মধ্যে ফরমালিনের আতঙ্ক ভর করে। অসাধু ও অসৎ ব্যবসায়ীরা ফলে কার্বাইড ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে অপরিপক্ব ফল পাকানোর পর তা বাজারে বিক্রি করেন। যার কারণে ফরমালিন আতঙ্কে ফল কিনতে ভয় পান ফল ক্রেতারা। মৌসুমি ফল বাজারে এলে প্রথম দিকে দামটা একটু বেশি হয়ে থাকে।
আম পাকানোর এই রাসায়নিক পদার্থ মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাশিদুল আলম। তিনি বলেন, রাসায়নিকযুক্ত ফল খেলে ক্যান্সার ও কিডনি বিকল হওয়াসহ শরীরে নানা ধরনের জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। তাই সকলকে রাসায়নিক মুক্ত ফল খেতে হবে।