সংখ্যালঘুরা কারোর ভোট ব্যাংক হবে না

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ০২:১৮ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ

ছবি: ভোরের কাগজ
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। উপরিভাগে স্বস্তি ও শান্তির বাতাবরণ থাকলেও যেকোনো সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা আছে। যার কারণে আমরা সংখ্যালঘুরা উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা গণিমতের মাল হতে চায় না। সংখ্যালঘুরা কারোর ভোট ব্যাংক হবে না।
শনিবার (৩ জুন) সিলেটে সংগঠনটির বিভাগীয় তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি দলের ২০১৮ সালের নির্বাচনপূর্ব ৭ দফা প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত ওই সভায় সিলেট বিভাগের চারটি জেলা ও সবকটি উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা যোগ দেন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব সভার শুরুতেই বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার সাংগঠনিক রুপরেখা তুলে ধরেন।
সভায় রানা দাশগুপ্ত বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দেশে যে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি শুরু হয়েছে তা থেকে গত ১৩ বছরেও বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। অথচ আমরা ভেবেছিলাম এই ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। কিন্তু আজ সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি পাকিস্তান আমলের চাইতেও বেশি সাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, মনভোলানো কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এসব কথার কোনো সুযোগ নেই। জগাখিচুড়ির সাম্প্রদায়িক সংবিধানের কারণে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন কিংবা ৭২ এর সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার শ্লোগান দিলেও ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই-এই শ্লোগান কেউ দিচ্ছে না।
[caption id="attachment_436356" align="aligncenter" width="1308"]
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের প্যাসেজ দিতে হবে। কারণ সংখ্যালঘুরা বিক্ষুব্ধ। সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি দেড়ঘন্টা ধরে সংখ্যালঘুদের দাবি শুনেছেন। কিন্তু এসব দাবি বাস্তবায়ন করবেন, করবেন না-সে বিষয়ে কিছু বলেননি। এরপরেই সংগঠন থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দাবি আদায়ে আন্দোলনও চলবে আবার আলোচনাও চলবে।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কারোর ওপর নির্ভর করে কাজ করে না। সংখ্যালঘুরা গণিমতের মাল হতে চায় না। কারো ভোটব্যাংক হতে চায় না। আমার ভোট আমি দেব, জেনেশুনে বুঝে দেব।
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ বছরে যারা মুজিবকোট গায়ে চাপিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি দখল করেছে আমরা তাদের ভোট দেবনা। ২০২১ সালের ঘটনার পরে যারা বিদেশে গিয়ে বলেছেন কিছু হয়নি আমরা তাদের ভোট দেব না।
এরআগে সংগঠনের সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট মৃর্ত্যুঞ্জয় ধর ভোলার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর নিমচন্দ্র ভৌমিক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জয়ন্ত সেন দীপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুদীপ্ত সরকার সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক শিপন বাড়াইক প্রমুখ।