হাট মাতাতে প্রস্তুত 'লাল মানিক'

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ১২:২২ পিএম


আদর করে ষাঁড়ের নাম রেখেছেন লাল মানিক। গত তিন বছর ধরে পরিবারের সদস্যের মতো লালন পালন করে বড় করেছেন তাকে। কথা গুলো বলছিলেন ষাঁড়গরুর মালিক ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের হাসনপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫)। আসন্ন ঈদুল আজহায় গৌরীপুরে কোরবানির হাট মাতাবে ”লাল মানিক” এমনটাই ভাবছেন খালেক।
মালিক আব্দুল খালেক জানান তিন বছর আগে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্রায় দের লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জার্সি জাতের এ গরুটি কিনেছিলেন । সেই থেকে তার লালন পালন ও পরিচর্যা চলছে। বর্তমানে তার বয়স তিন বছর আর ওজন ৯২০ কেজি (২৩ মন)। চার দাঁতের তিন বছর বয়সী ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা।
মালিক আরও জানান, লাল মানিককে প্রতিদিন খেতে দিতে হয় চিরা. কলা,ভুষি,চালের কুড়া, ঠাণ্ডা শরবত আর খড়। এ জন্য তার পিছনে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার মত খরচ করতে হয়। তার থাকার ঘরে রয়েছে সিলিং ফ্যান,লোডশেডিঙের জন্য রয়েছে সৌরবিদ্যুত চালিত ফ্যানের ব্যবস্থা। রাতের বেলায় তার ঘর দুইবার পরিস্কার করতে হয়। রয়েছে মশারি। রীতিমত বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত লাল মানিক।
তিনি আরও জানান, আমি ছোট একটি ব্যবসা করি সারাদিন বাইরে থাকতে হয়। তাই ষাঁড়টিকে সন্তানের ¯েœহে লালন পালন করেন আমার স্ত্রী নাজমা আক্তার। প্রতিদিন সময়মত খাবার দেওয়া, গোসল করানো রাতে মশারি টানানো তিনিই করে থাকেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার বড় ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (১৯)। তাই মা ছেলের সঙ্গে লাল মানিকের সখ্যতা একটু বেশি।
প্রতিবেশীরা জানায় লাল মানিক আমাদের এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বড়। দেকতে খুব সুন্দর, গায়ের রং সুন্দর ও চকচকে। তাই প্রতিদিন আশেপাশের গ্রাম থেকে শতশত মানুষ লাল মানিককে দেখতে তার বাড়িতে ভীর জমায়।
গৌরীপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ৭ হাজার ৪ শতটি। আর প্রস্তুত রয়েছে ৮ হাজার ৭৮৮টি পশু । এর মধ্যে গরু ৪ হাজার ৪৫৫ টি, ছাগল আর ভেড়া ৪ হাজার ৩৪৩টি।