কালা মানিক বিক্রি করে মা-বাবকে হজ্ব করাতে চান আহাদ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ১০:১৩ পিএম

কালো মানিক এখন বিশাল আকৃতির ষাড়। ছবি ভোরের কাগজ
সিলেট সিটি করেপারেশনের ৩৭নং ওয়ার্ডের দুসকি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আহাদ। পেশায় মোটর মেকানিক। রয়েছে নিজস্ব মোটর সাইকেল ওয়ার্কসপ। শখ করেই নিজেদের পালিত গাভীর একটি বাচ্চাকে পাঁচ বছর ধরে লালন পালন করে বড় করেছেন। নাম দিয়েছিলেন কালো মানিক। কালো মানিক এখন বিশাল আকৃতির ষাড়। ওজন প্রায় ২০ মণেরও বেশি।
শনিবার সন্ধ্যায় ভোরের কাগজের সাথে আলাপকালে আব্দুল আহাদ কালো মানিককে নিয়ে জানালেন নানা কথা। সেই সাথে জানালেন দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকেই স্বপ্ন দেখছেন কালো মানিক বিক্রি করে নিজের মা বাবাকে হজ্বে পাঠাবেন। কালো মানিকের দাম হাকছেন তিনি ১১ লাখ টাকা। সিলেটের কোরবানির ঈদে বিশাল আকৃতির ষাঁড় ‘কালা মানিক’-এর দিকে ক্রেতাদের নজরও পড়েছে বেশ। যদিও কালো মানিককে এখনো বাজারে নিয়ে আসেননি আহাদ।
ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে ক্রেতারা আব্দুল আহাদের বাড়িতে ভীড় করছেন। লাইন লেগেছে উৎসুক জনতার। অনেকেই কালো মানিকের সাথে ছবি তুলে ফেইসবুকে দিচ্ছেন। আহাদও এসব দেখে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন। তবে ১১ লাখ নয়, নিজের পছন্দমত মূল্য পেলেই কালো মানিককে বিক্রি করে দেবেন তিনি।
আহাদ বলেন, অনেকেই আসছেন, দরদাম করছেন। তবে কাঙ্কিদ মূল্য পেলেই বিক্রি করে দেব। কারণ আমার একমাত্র স্বপ্ন এটি বিক্রি করে মা-বাবাকে হজ্বে পাঠাবো। বাজারে না নিয়ে বাড়িতেই বিক্রি করে দিতে চান আহাদ। কারণ কুরবাণীর হাটে এতবড় ষাড় নিয়ে যাওয়াটাও একটা ঝামেলা বলে মনে করেন তিনি।
আহাদ আরো বলেন, শাহিওয়াল জাতের ষাঁড়টি লম্বায় ৯ ফুট, উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট। ২০ মণ ওজনেরও বেশী হবে কালা মানিক।
কালো মানিক নাম কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আহাদ বলেন, ষাড়টি দেখতে কালো। তাই আমি আদর করে কালা মানিক নাম রেখেছি। আহাদ বলেন, ষাঁড়টি মোটাতাজাকরণে কোনো ওষুধ, ইনজেকশন কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। প্রাকৃতিক উপায়েই তাকে বড় করা হয়েছে। দিনে দুবার গোসল করানো হয় কালা মানিককে। সার্বক্ষণিক চলে ফ্যান। এর খাদ্য তালিকায় থাকে সবুজ ঘাস, খড়, ভুট্টা ভাঙা, বিভিন্ন ভুসি, সরিষার খৈল, ধানের কুড়া, পাকা বিভিন্ন ফল ও লবণ।