ব্যস্ততা বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কামারপল্লীতে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ০৫:০১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামারপল্লীতে। ছুরি, বটি, দা, খান্ডাসহ কোরবানির সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কামাররা জানান, ব্যস্ততা বাড়লেও প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বাড়ায় বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। এতে কাঙ্ক্ষিত লাভ হচ্ছে না। অন্যদিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নেয়া পদক্ষেপে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
ঈদ আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। জেলা সদরের গোকর্ণঘাট, ভাদুঘর, উলচাপাড়া, মেড্ডা ছাড়াও জেলার ২ শতাধিক কর্মকার এখন দা, ছুরি, বটি, খান্ডাসহ কোরবানির সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে । এ পেশায় জড়িতরা জানালেন চট্রগ্রাম, নরসিংদী, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দোকানদাররা কোরবানির সামগ্রী ক্রয়ের জন্য এখানে আসছেন।
তবে কয়লা, লোহা ও রেতসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজের চাপ বাড়রেও কমেছে লাভের পরিমাণ। এছাড়া ধারালো অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নেয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপে কমে গেছে কাজের পরিধি। এখন শুধুমাত্র ছোট ছুরি, দা, বটি, খান্ড তৈরী ও সান দেওয়ার কাজ করছেন।
কোরবানির সামগ্রী তৈরীর উৎপাদন খরচ বাড়লেও তারা সীমিত লাভে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতি কেজিতে লোহা ৪০ টাকা বেড়ে ৮০/৯০ টাকা, প্রতি বস্তা কয়লা ২৫০/৩০০ টাকা খেকে বেড়ে ৬০০ টাকায় দাড়িয়েছে। এতে উৎপদন খরচ বাড়লেও কমেছে লাভের পরিমাণ।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৯ উপজেলার কামারদের দাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র তৈরীতে নিষেধ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, শুধুমাত্র গোষ্ঠীগত দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণেই এমন পদক্ষেপের নেওয়া হয়ছে। পেশাগত ভাবে কামারা হয়রানীর শিকার হবেনা বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।