জাতীয় ঐক্য, সংহতি রক্ষায় ফটোসাংবাদিকদের ভূমিকা ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ৩৭তম বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় মেয়র বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৮২-৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ৯৬’র অসহযোগ আন্দোলনের জীবন্ত দলিল ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও সংগ্রামী প্রেরণা যুগিয়েছেন ফটোসাংবাদিকরা। ক্যামেরা শুধু ছবি তুলে না- এতে ভাষাও দেয়, শিল্প সৌন্দর্যও আনে। তাই, ফটোসাংবাকিতাকে সাংবাদিকতার একটা নিছক অনুজ অঙ্গ বলে অবহেলা করার অবকাশ নেই। একে গণ্য করতে হবে সংবাদপত্র মাধ্যমের একটি অপরিহার্য শ্রম বিভাগ, শিল্প ও নান্দনিকতার বিষয় হিসেবে।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে ১৯৬৩ সাল থেকে আমি মাঠে ময়দানে আছি তাই ফটোসাংবাদিকদের কাজ ও ঝুঁকি সম্পর্কেও আমি অবগত। মেয়র হিসাবে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের যেকোনো কর্মকান্ড এবং সমস্যার সমাধানে পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

সিপিজেএ’র সভাপতি রাশেদ মাহমুদেও সভাপতিত্বে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিপিজেএ উপদেষ্টা আলী আব্বাস, বিএফইউজেএ'র সহ সভাপতি শহীদ উল আলম,চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা চট্টগ্রাম ১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দীর বাচ্চু, সিপিজেএ উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফটোসাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাস দেবু, কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, ফুলকলি গ্রুপ এন্ড ইন্ডাস্ট্রির জেনারেল ম্যনেজার এম এ সবুর। প্রদর্শনী সম্পাদক সরওয়ারুল আলম সোহেল সঞ্চালনায় অনুষ্টানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সিপিজেএ’র সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।