কনকনে শীতে কুড়িগ্রামে বিপর্যস্ত জনজীবন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:২৪ পিএম


কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টানা ৫ দিনের শৈত্য প্রবাহ ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্থ জন-জীবন। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা বৃদ্ধির আভাস দিলে-ও ঠাণ্ডা কমছে না। দিনভর মেঘে ঢাকা থাকছে আকাশ চারিদিক ঘনকুয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ সাথে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় কনকনে হুলফোটানো ঠাণ্ডা কার্যত চরম আকার ধারণ করছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় সেখানে রেকর্ড করা হয় ১২. ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলেও কনকনে ঠাণ্ডা বেড়েই চলেছে । হিমেল হওয়ার কারণে এ অসহনীয়পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয় মানুষজন ধারণা করছে। এ অবস্থায় নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন গরম কাপড়ের অভাবে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে । এসব এলাকায় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা শীত জনিত রোগে। কুড়িগ্রাম আধুনিক হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
কুড়িগ্রাম আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম আধুনিক হাসপাতালে ২শ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে শ্বাস কষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১৪ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। শীতের সাথে বয়ে যাওয়া ঠাণ্ডায় চরাঞ্চলের ছিন্নমূল পরিবার গুলোর মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় অনেক পরিবারে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। অনেকেই ছুটছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে নিম্নআয়ের মানুষ জন ভীড় জমাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫১ হাজার ৫ শ ১৪ কম্বল বিতরণের দাবি করা হয়েছে। হতদরিদ্র ছিন্নমুল মানুষেরা তীব্র শীত কষ্টে ভুগলেও সরকারী বা বেসরকারী ভাবে শীত বস্ত্র বিতরনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি৷ জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ৫১ হাজার ৫শ ১৪ পিচ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
