বিজিবির আন্তরিকতায় বাড়ি ফিরছেন ভারসাম্যহীন নারী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২০, ০১:১৮ পিএম

ভারসাম্যহীন নারী। ছবি: প্রতিনিধি
রামগড় জোনের বিজিবি সদস্যদের আন্তরিকতা ও মানবিকতায় পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরে যাচ্ছেন নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত সেই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। ফেনী নদীর শূন্যরেখায় প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন তিনি। ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম শাহানাজ পারভিন (৩৫)। কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দইখাওয়ারচর গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম হাতেম আলী শেখে। ভারসাম্যহীন অবস্থায় দুই বছর আগে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন তিনি। ৪৩ বিজিবি, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস (আইসিআরসি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) যৌথ প্রচেষ্টায় তাকে স্বজনদের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, ২ এপ্রিল সকালে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা করে। ওই নারী বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত ফেনী নদীর মাঝখানে নোম্যানস-ল্যান্ডের খোলা আকাশের নিচে থাকেন। এই নারী নিজ মুখে তার বাড়ি একবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম থানার দোলবাড়ি এলাকায়, আরেকবার হরিণা এলাকায় বলে জানায়। পরবর্তীতে তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রইখারচরে বলে দাবি করেন।
পরিবার জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে নিখোঁজ আছেন তিনি। নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে নোম্যানস ল্যান্ড থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ অংশে আনা হয়। শাহানাজ পারভীনের বড় ভাই ওমর আলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তার বোন। হঠাৎ করে বিজিবি-আইসিআরসি ও রেড ক্রিসেন্টের লোকজন সঙ্গে যোগায়োগ করে ছবি-ভিডিও দেখালে আমরা নিশ্চিত হই। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে খাগড়াছড়ি রামগড় গিয়ে বোনকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তবে রেড ক্রিসেন্টের লোকজন বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসবে।
রামগড় জোন এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তারিকুল হাকিম বলেন, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা তাকে নো ম্যানস-ল্যান্ড থেকে সরিয়ে এনে ভালোভাবে রেখেছি। গত দুই বছর ওই নারী দেশে ছিলেন নাকি ভারতে ছিলেন তা বলতে পারেননি। তবে বিএসএফ ও ভারতীয় লোকজন তাকে বাংলাদেশি বলেই পুশইনের চেষ্টা করেছিল।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, আমরা ভারসাম্যহীন নারীকে পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য চেষ্টা করছি। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অ্যাম্বুলেন্সে করে নারীটিকে তার বাবার বাড়িতে পাঠানো হবে।