ভেসে গেছে সব মাছ, চিন্তায় দিশেহারা মাছ চাষিরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২০, ০৫:০৪ পিএম

ছবি: প্রতিনিধি
বৈশিক মহামারি করোনাকালীন বন্যায় সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি ও অতিবৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দিন দিন পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার মাঝারদিয়া, বল্লভদি, রামকান্তপুর, ভাওয়ালসহ প্রায় সব ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়। তলিয়ে যায় বাড়িঘর, রাস্তা ঘাট, কৃষি জমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মাছ চাষের পুকুর, ডোবা, বিল বাওরসহ বিভিন্ন জ্বলাশয়।
মৎস্য চাষের পুকুর ও জলাশয় পানির নিচে চলে যাওয়ায় উপজেলার প্রায় শতাধিক মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্থ্ হন। অন্যান্য ব্যবসা কম বেশি বন্ধ থাকলেও লাভের আশায় অনেকে মাছ চাষ শুরু করেন। তবে সর্বনাশ ডেকে আনে বন্যা। বানের পানিতে ভেসে গেছে মাছ চাষিদের স্বপ্ন। লোন ও ধারের টাকায় শোধ করার চিন্তায় দিশেহারা অনেকেই। কেউ কেউ আবার চড়া সুদে টাকা ধার করে শুরু করেছিলেন মাছ চাষ। করোনা ও বন্যাকালীন পাননি কোনো সাহায্য সহযোগিতা। তাছাড়া কেউ খোঁজ খবরও নেয়নি।
সালথা সদর বাজারের অন্যতম মাছ ব্যবসায়ী ও মাছ চাষি বিদ্যুৎ কুমার মালো বলেন, আমি ধার দেনা করে প্রায় ১৬ বিঘা জায়গার দুইটি দিঘি ও দুইটি পুকুর মিলে প্রায় ৬ লক্ষা টাকার মাছ ছেড়ে ছিলাম। বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে গেছে। এখন আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক এ বিষয়ে বলেন, আপাতত মৎস্য চাষিদের জন্য তেমন কোনো বরাদ্দ নেই। ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, দেখা যাক কি হয়।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার বলেন, চলমান বন্যায় মৎস্য চাষিদের মাছ পানিতে ভেসে যাওয়া দুঃখজনক। উপজেলা মৎস্য অফিসের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করছি, প্রাপ্ত তালিকা প্রেরণ করেছি, সরকারিভাবে প্রাপ্ত প্রনোদনা ও সাহায্য যথাযথভাবে বিতরণ করা হবে।