নির্বাচনে হেরে মমতাজের আবেগঘন স্ট্যাটাস

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম

আমার অর্জন ও সুনাম যারা কোনদিনই সহ্য করতে পারেনি তবুও তাদেরকে আমি সাধ্যমত সহযোগিতা ও সম্মান করে আসছি কিন্তু তারা ঠিকই সুযোগ বুঝে আমাকে টেনে হেছরে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম তার নিজ ফেসবুক পেজ ‘Momotaz Begom’ থেকে আবেগঘন এ স্ট্যাটাস দেন । মমতাজ বেগমের স্ট্যাটাস নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
মানিকগঞ্জ-২ আসনের টানা দুইবার জাতীয় সংসদের সদস্য ও একবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন এই কণ্ঠশিল্পী।
নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর নিজের সুনাম ও খ্যাতি নষ্ট করার জন্য স্বার্থপর কিছু মানুষের মিথ্যা অপবাদ ও অত্যাচার সহ্যের কথা জানিয়ে যে স্ট্যাটাসটি দেন তা এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো- নিজের খ্যাতিটাও মাঝে মাঝে গলার কাঁটা মনে হয়। সুনাম নষ্ট হবে এই ভয়ে মুখ বুজে কত যে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা আমি আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার অনেক কষ্টের অর্জন। মা-বাবা পীর মুর্শিদের দোয়াও আছে।
আমার এই অর্জনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির হাত না থাকলেও আজ সেটাকে ধ্বংস করতে কতিপয় কিছু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। যারা কোনোদিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে নাই, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদেরকে সম্মান ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি! সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। কষ্টটা হলো আমি যা না, আমি যা করিনি সেই অপবাদ আমাকে দিচ্ছে শুধুমাত্র কিছু অর্থ স্বার্থের বিনিময়ে। আমি জানি সত্যটা ঠিকই একদিন এ দেশের মানুষ জানবে শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আল্লাহ তুমি এই স্বার্থপর মানুষগুলোকে হেদায়েত দান করো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মমতাজ বেগমের স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে পড়লে তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা সহমর্মিতা ও সাহস যুগিয়ে ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন ।
উল্লেখ্য, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে ৬ হাজার ১৭১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে মমতাজ বেগম পান ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।