অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে
আলফাডাঙ্গায় মাদ্রাসা সুপারের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

কবীর হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর)
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম

নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা জেএসডি দাখিল মাদ্রাসার সুপার এম এ শহিদ মিয়ার দ্রুত অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বারাংকুলা জেএসডি দাখিল মাদ্রাসার সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কয়েকশো মানুষ অংশ নেন। এসময় মানববন্ধনে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
মানববন্ধন চলাকালে মাদ্রাসার লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সুপারের দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন, মাদ্রাসার বর্তমান দায়িত্বে থাকা সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান, লুৎফার রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন মোল্যা, এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুল্লাহ্ মোল্যা, মনছের মোল্যা, জাহিদুল হক, মামুন মোল্যা প্রমুখ।
মাদ্রাসার সুপার এম এ শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, দায়িত্ব পালনে স্বেচ্ছাচারিতা, অবহেলাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তক্রমে চাকরি বিধি ১৯৭৯ এর ৮ ধারা মোতাবেক তৃতীয়বার মাদ্রাসা সুপারের পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সহকারী সুপার আবুল কালাম আজাদকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এর আগে মাদ্রাসার সুপার এম এ শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে এসইডিপির অনুদান, মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ ও নানাবিধ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মাদ্রাসার ১১ জন শিক্ষক-কর্মচারী।
জানতে চাইলে বারাংকুলা জেএসডি দাখিল মাদ্রাসার সুপার এম এ শহিদ মিয়া এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে বলেন, 'আমি অসুস্থ থাকার কারণে বর্তমানে চিকিৎসা নেয়ার জন্য ঢাকাতে অবস্থান করছি। এই সুযোগে একটি চক্র বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সভাপতিকে বাদ দিয়ে অবৈধভাবে সভাপতি করে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমি বরখাস্তের কোন চিঠি হাতে পাইনি।'
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হকের বক্তব্য জানতে তার কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
তবে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন জানান, 'আমি সদ্য এ উপজেলায় যোগদান করেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।'