নোয়াখালীতে খতনা করাতে গিয়ে সংকটাপন্ন শিশু নাহিয়ান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খতনা করাতে গিয়ে আল নাহিয়ান তাজবীব (৮) নামের এক শিশুর গোপনাঙ্গের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই শিশুর জীবন সংকটে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও তার সহযোগীরা পালিয়েছেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তড়িঘড়ি করে খতনা করার সময় আল নাহিয়ান তাজবীবের গোপনাঙ্গের মাথার অংশ কেটে ফেলেন শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় শিশুটির। তার আর্তচিৎকারে বাবা আলমগীর হোসেন দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দেখতে পান, তার সন্তানের রক্তে কেবিনের বেড ভিজে গেছে। এ সময় সৌরভ ভৌমিক দুই সহযোগীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
আরো পড়ুন: ১০ বছর পালিয়ে শেষ রক্ষা হলো না রাজুর
বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শিশুটিকে হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
ডা. সেলিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সৌরভ ভৌমিক শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে জরুরি বিভাগে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নিয়মিত ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে সৌরভ ভৌমিক তড়িঘড়ি করে খতনা করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।
তিনি জানান, পুরো বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, প্রতিপক্ষ নয়’
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২গ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতাতে আহনাফ তাহমিদকে সুন্নতে খতনা করাতে নিয়ে যান বাবা ফখরুল আলম। পরিবারের অভিযোগ, আসার পরই হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদিরদের নেতৃত্বে তাহমিদকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান হাসপাতালে দায়িত্বরত ডা. মাহাবুব এবং ডা. ইশতিয়াক আজাদ।
এর ঠিক ২০ মিনিট পর আহনাফকে দেখতে চায় পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে শুরু হয় হট্টগোল। এরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করেন তারা।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর খতনার জন্য শিশু আয়ানকে বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ৯টার দিকে শিশুটিকে অ্যানেসথেসিয়া দেয়া হয়। পরে জ্ঞান না ফেরায় তাকে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আয়ানের বাবা-মায়ের অভিযোগ, ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়ে সুন্নতে খতনার সময় অতিরিক্ত অ্যানেসথেশিয়া দেয়ায় ঘটেছে এমন ঘটনা।