পাইকগাছায় মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪, ০৬:০২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
পাইকগাছার গড়ইখালীতে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী বলছে মরা গরু, আর মাংস বিক্রেতা বলছে ভালো গরু। এ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনা। খবর পেয়ে উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে মাংস জব্দ করে কেরোসিন ঢেলে তা পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার (৮ মে) উপজেলার কুমখালী গ্রামের রমেশ বৈদ্যর দুটি গরু বাড়ির পাশে বিলে ঘাস খাওয়ার জন্য বেধে রাখে। প্রচন্ড গরমে গরু দুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক গরুর মালিক ডাক্তার ডেকে ডাক্তারের পরামর্শে গরুর গায়ে পানি ঢালে। এ সময় একটি গরু সুস্থ হলেও আরেকটি গরু মারা যায়।
এ সময় গড়ুইখালী এলাকার ইলিয়াস গাজী (৪০), মকছেদ গাজী (৩৫), খানজে গাজী (৪৫), জাকির সানা (৪০) ওই মাঠে গরুর মালিকের অনুমতিতে গরুটি জবাই করে। পরে ওই গরুর মাংস ইছা গাজী নামে এক ভ্যান চালকের মাধ্যমে আল-আমীন মোড়ে প্রতি কেজি ৫ শত টাকা করে ২০ জনের মধ্য বিক্রি করে দেয়। পরে মরা গরু জানাজানি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসি ওই মাংস রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।
আরো পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় জামানত হারালেন বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ৮ জন
নজরুর শেখ (৫০) নামে এক ক্রেতা বলেন অল্প দামে মাংস পাওয়ায় আমি সাড়ে চার কেজি মাংস কিনেছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি সেটা মরা গরুর মাংস। তাই রান্না না করে আল আমিন মোড়ের রাস্তার উপর ফেলে রেখে যাই।
এলাকার আজিজুল শেখ জানান আমিও অল্প টাকায় মাংস পেয়ে ২ হাজার টাকার মাংস কিনেছিলাম। ১ কেজি মাংস রান্না করে খেয়েছি বাকি তিন কেজি মাংস রাস্তায় ফেলে দিয়েছি।
গরুর মালিক রমেশ বৈদ্য জানান, আমার দুটি গরুর মধ্যে একটা গরু মারা যায়। মরা গরুটা মাঠে ফেলে দিয়ে আসি। গড়ুইখালীর কিছু লোক এসে ওই গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে কি না এটা আমি জানি না।
কসাইদার মোকছেদ আলী গাজী জানান, গরুটি মরা না। অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা গরুর মালিকদের নিকট থেকে নিয়ে গরুটি জবাই করে বিশ জনে ভাগ করে নিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে সেনেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক উদয় মন্ডল জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরা গরুর মাংস জব্দ করে প্রায় ১৩ কেজি মাংস কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলি। যারা মরা গরুর মাংস বিক্রি করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।