সরকারি টাকা হরিলুট, বন কর্মকর্তার নামে মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম

বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। ছবি : ভোরের কাগজ
শেরপুরে ৯ কোটি সরকারি টাকা হরিলুটের অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামে এক বন কর্মকর্তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জেলার শ্রীবরদী থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। বন বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে বালিজুরি রেঞ্জের একাধিক বিটের বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ এলাকায়। জানা গেছে, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মির্জা আজমের এলাকার লোক হিসেবে দাপটে একই কর্মস্থলে তিনি ৮ বছর চাকুরি করেন।
এলাকাবাসী জানান, এখানে যোগদানের পরপরই তিনি নানা অনিয়ন ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। মন্ত্রী এলাকার লোক হিসেবে তিনি কাউকেই তোয়াক্কা করেননি। তার দাপটে এলাকাবাসীও মুখ খুলতে সাহস পায়নি, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
আরো পড়ুন : ৪৩ লাখ টাকা ছিনতাইকালে ধরা পড়লেন ২ পুলিশ সদস্য
এলাকাবাসী আরো জানান, তিনি সুফল বাগান সৃজনে অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতেও দুর্নীতি করেছেন। বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ কর্মস্থলে যোগদানের পর ঘটনা আচ করতে পেরে তাকে বদলি করে বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে সুমন মিয়া দায়িত্ব দেন। কিন্তু রবিউল ইসলাম সুমন মিয়াকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে তার বদলির নির্দেশ স্থগিত করানোর জন্য তদবিরে মেতে উঠেন।
জানা গেছে, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার স্বদিচ্ছার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।
অবশেষে গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি রবিউল ইসলাম সুমন মিয়াকে দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দেন তিনি। সুমন মিয়া দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে নেয়ার পর রবিউল ইসলামের ৯ কোটি টাকার ঘাবলার ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। পরে এ বিষয়ে বিভাগীয়ভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে বন বিভাগ বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে সরকারি হরিলুটের ৯ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়।
কিন্ত রবিউল ইসলাম টাকা জমা না দিয়ে গা ঢাকা দেয়। এ বিষয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রীবরদী থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।