কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধ কুমার নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ধরলার নদীর পানিও সেতু পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। অপরদিকে সোমবার রাত থেকে কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন : মধ্যনগরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আতঙ্কে মানুষ
কুড়িগ্রাম সদরের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক এরশাদুল হক বলেন, ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটল খেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটলের গাছ মরে যাবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের উজানে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্বল্প মেয়াদের একটি বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসনের সব-ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।