শান্তিগঞ্জে বন্যার ছোবল, পানিতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৪, ০২:২১ পিএম

ছবি : ভোরের কাগজ
একের পর এক দুর্যোগ দিশেহারা করে দিয়েছে হাওর পাড়ের মানুষদের। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে পানি। বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় নতুন করে পানিতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। দেখা দিয়েছে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা। বসতবাড়িতে পানি উঠে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ছুটছেন বানভাসীরা। ধান, গবাদি পশু যেন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্যার্তদের। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি বেড়ে গিয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলার বাসিন্দারা জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত গতিতে ঢুকছে। এতে উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে পানি উঠে প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি উঠে আতঙ্কের মাঝে রয়েছি।
আরো পড়ুন : সিলেটে পানিবন্দি ৪ লাখ, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
পানিবন্দি একাধিক ব্যক্তি জানান, বসতঘরে পানি উঠে গেছে। জরুরি কাজ থাকা সত্ত্বেও কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে পার হতে হচ্ছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। যেভাবে পানি বাড়ছে আল্লাহ ছাড়া এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার কেউ নাই।
আব্দুল কাহার নামের একজন বলেন, শান্তিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে বন্যায় প্লাবিত। পানিবন্দি মানুষ ডুবে যাওয়া কাঁচা বাড়িঘর ও গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বন্যায় পুকুরের মাছ ঘরবাড়ি সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অনেক গ্রামের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন এই দুর্যোগ মুহুর্তে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার আহবান জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন : বিপৎসীমার উপরে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন ও সকলকে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা।
তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতির খবরাখবর রাখছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে বন্যার তথ্য দেয়ার জন্য। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যাদের বাড়িঘর পানিতে ডুবেছে তাদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।