টেকনাফে প্রবল বৃষ্টি, পানিবন্দি অর্ধলাখ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম

ছবি : ভোরের কাগজ
কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলায় অতিবৃষ্টির কারণে হাজার হাজার বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও চিংড়ি ঘের। হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) রাত থেকে অতিবৃষ্টির কারণে টেকনাফ উপজেলায় হ্নীলা, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া ইউনিয়নসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকা বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
আরো পড়ুন : শান্তিগঞ্জে বন্যার ছোবল, পানিতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলায় হাজার হাজার বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
হ্নীলা ওয়াব্রাং এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষক মাস্টার কামাল জানান, বেড়িবাঁধের স্লুইস গেট বন্ধ রাখার ফলে ওয়াব্রাং এলাকাসহ অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত স্লুইস গেইটের পাশে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না করলে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনা খাবার দেয়া হবে। তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।