১ দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ৭৬

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম

১ দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ৭৬। ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জে ১ দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ৭৬ জন রোগীকে সদর হাসপাতাল থেকে এণ্টি-রেবিস ভ্যাকসিন এবং অতিমাত্রায় জখম ৩৩ জন রোগীকে আরআইজি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টা থেকে মানিকগঞ্জের উত্তর ও পশ্চিম সেওতা, পশ্চিম দাশড়া, বেউথাসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় শখানেক মানুষকে কুকুরে কামড়িয়েছে। কুকুরের আক্রমণের শিকার ৯ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছর বয়স্ক লোকজন। তাঁদের শরীরে পা, হাত, মুখসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছে। এখনো পাগলা কুকুর দুটোকে স্থানীয়রা মারতে পারেনি। মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম সেওতা,দাশড়া ও বেউথা এলাকার চান মিয়া, রায়হান, পাখি, ফরিদা, ইমদাদুল, অনিক, জাকারিয়া, লিপি, আলী হোসেন, ওমর কাজী, সিয়াম, সুজন, মোর্শেদা, ইলিয়াস খান, আনোয়ার, ননী মিয়া, বেদানা, তাসিমসহ কুকুরে কামড়ানো আহত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি কুকুর তাদের হাত, পাসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় কামড় বসিয়ে দেয়। কুকুরটির মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল। একটির রঙ কালো, অপরটির সাদা।
উত্তর সেওতা এলাকার আতিক, রায়ান ও ইউসুফ আলী জানান, একদিনে এতোগুলো মানুষকে কুকুরে কামড়াতে পারে এটি আগে কখনো তারা দেখেননি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তারা যেন বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন!
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিউলী আক্তার জানান, বেলা ২টা পর্যন্ত ৭৬ জন রোগীকে এণ্টি রেবিস ভ্যাকসিন এবং ৩৩ জন রোগীকে আরআইজি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ১ দিনে এতো নতুন রোগী আগে তিনি কখনো দেখেননি। তাদের সংরক্ষণে যে ভ্যাকসিনের পরিমাণ রয়েছে তা দিয়ে আগামী ৩-৪ দিন কাজ চালানো যাবে। অনতিবিলম্বে নতুন চাহিদার ভ্যাকসিন তাদের কাছে এসে যাবে বলে জানান ওই নার্স।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলী দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। তিনি অসুস্থতার কারণে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকায় এসে সবার সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সুন্দর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরো পড়ুন: এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে মোমবাতি-দেশলাই আনার নির্দেশ!