বাঁশের সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২০, ০২:২১ পিএম

খালের ভাঙা সেতুতে বাঁশের সাঁকো। ছবি: প্রতিনিধি
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে সেতু নির্মাণের বছর কয়েকের মধ্যেই বন্যার পানিতে ভেঙে যায় সংযোগ সড়ক। এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য সেতুর দুপাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সংস্কার না করায় চরাঞ্চলের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাউনিয়া তকিপল বাজার থেকে উত্তরদিকে আরাজি হরিশ্বর, গোপিডাঙ্গা গ্রামের মাঝখানে মরা তিস্তার নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় এলাকাবাসী এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন লোকজন যাতায়াত করত। পরে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়।
সেতুটি নির্মাণের পর কয়েক বছর ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহন এবং যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়। কিন্তু তিস্তার পানির তোড়ে ব্রিজটির দুপাশের সংযোগ সড়ক ধসে যায় এবং ব্রিজটির একপাশ দেবে যায়। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও ব্রিজটির সংযোগ সড়ক মেরামত না করায় সেখানে পথচারী এবং যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চরাঞ্চলবাসীর আর কোনো কাজে আসছে না ব্রিজটি।
স্থানীয় বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের কয়েক বছর পরেই বন্যার স্রোতে দুপাশের সংযোগ সড়ক ভেসে যায়। যার কারণে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দুই বছর ধরে আমরা চরাঞ্চলবাসী কষ্ট করে নৌকা ও পায়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছি। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু এখনো ব্রিজ কিংবা সড়ক সংস্কার করা হয়নি।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, সেতুর দুপাশের রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এলাকার মানুষের যাতায়াতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, ব্রিজটির দুপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়েছে। রাস্তা মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তারা ব্রিজটি পরিদর্শন করেছেন। নদীর পানি কমে গেলে সংযোগ সড়ক মেরামত করা হবে।