কোটা আন্দোলন
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৩

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা তিনটার দিকে নগরের মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়লে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স ২৪। তার পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অন্যদিকে ফারুকের বুকে গুলি লাগে। আহত অন্তত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত দুজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক।
এর আগে চট্টগ্রাম নগরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার ঘটে। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে বেলা সোয়া তিনটায় নগরের মুরাদপুরে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলা করেছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
আরো পড়ুন: রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক-রেল যোগাযোগ বন্ধ
আরো পড়ুন: কোটা আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা গেল
শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় কর্মসূচি ছিল চট্টগ্রামের ষোলশহর রেলস্টেশনে। তবে এর আগে থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ষোলশহর রেলস্টেশনে অবস্থান নেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে খণ্ড খণ্ড জমায়েতে শিক্ষার্থীরা ষোলশহরের দিকে আসতে থাকেন। আসার পথে মুরাদপুরে একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু হয়।
জানতে চাইলে ষোলশহর রেলস্টেশনে থাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম ওরফে রনি বলেন, আন্দোলনকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। ট্রেন অবরোধ করে মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছেন। এই আন্দোলন এখন আর কোটাবিরোধী আন্দোলন নেই। এ আন্দোলন জামায়াত-শিবিরের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে। তারা এ আন্দোলন মোকাবেলা করবেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, নগরের মুরাদপুরসহ যেসব স্থানে সংঘর্ষ হচ্ছে, সেখানে পুলিশ রয়েছে। বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। অস্ত্রধারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে অস্ত্রধারী কেউ থাকলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রামে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ব্যাটালিয়ন-৮ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী।