১২ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ: আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
নীলফামারীতে ১২ বছরের এক শিশুকে বাইসাইকেলের লোভ দেখিয়ে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়ে ছিল। এ ঘটনায় আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত/০৩) এর দুইটি ভিন্ন ধারায়্ ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, নীলফামারী-১ এর বিজ্ঞ বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ঘাশিপাড়া গ্রামের মৃত. শুকুর আলীর ছেলে মো. জাবেদ আলী (৬০)।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাবেদ আলী পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। তিনি বাচ্চাদের পুরোনো প্যান্ট-জামা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পূর্ব পরিচিত হবার সুবাদে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় ভুক্তভোগী নাবালিকা শাপলাকে (১২) (ছদ্মনাম) তার খালুর সুটিপাড়াস্থ মুদি খানার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাইসাইকেল কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে নিজের বাইসাইকেলে করে নিয়ে যায় আর্জি বর্ণিত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাবেদ আলী। ওই দিন ভুক্তভোগীকে নিয়ে জেলা সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত ৮টার দিকে জেলা সদরের দক্ষিণ সুটিপাড়া বকসি পাড়া গ্রামস্থ ভাড়া বাসায় নিয়ে ভুক্তভোগী নাবালিকাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী নাবালিকার বাবা মজিবুল ইসলাম।
এদিকে, মামলাটির দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার (১৪ আগস্ট) আর্জি বর্ণিত আসামি মো. জাবেদ আলির বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধিত/০৩) এর ৭ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ৯(১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক।
প্রসঙ্গত, এ আইনের ১৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী প্রাপ্ত হবে উল্লেখ করে আদেশ দেন আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক।