নিখোঁজ শ্রমিকের সন্ধান চারদিনেও মেলেনি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২০, ০৩:১০ পিএম

মো. রুবেল গাজী
বাউফলের কালাইয়া-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী ডাবল ডেকার লঞ্চ পারাবত-১৪ থেকে মো. রুবেল গাজী (২৫) নামের এক শ্রমিক শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ভোররাতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন। ওই শ্রমিক ঢাকার বংশালে প্লেনসিটের দোকানে কাজ করত বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তার বাড়ি বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামে। তার পিতার নাম মো. হারুন গাজী। তার স্ত্রী এবং ৪ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিখোঁজ রুবেল গাজীর ছোট ভাই রানা গাজী (২১) এই প্রতিনিধিকে জানায়, ঢাকা যাওয়ার উদ্যেশ্যে শুক্রবার সন্ধায় রুবেল উপজেলার নূরাইনপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী পারাবাত-১৪ ডাবল ডেকর লঞ্চে উঠে একটি ষ্টাফ কেবিন ভাড়া নিয়েছিলেন। ঢাকার বংশালে প্লেন সিটের দোকানে কাজ করা উপজেলার নাজিরপুরের বাসিন্দা কবির নামের অপর এক শ্রমিকও তার পাশেই ষ্টাফ কেবিন ভাড়া নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। রাত সারে নয়টার দিকে মোবাইলের ভিডিও কলে বাড়িতে ফোন দিয়ে সন্তানকে দেখেছেন এবং স্ত্রী সাজেদা বেগম ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেন রুবেল।
এরপর ভোর ৪টা ৫৭ মিনিটে পার্শ্ববর্তী মামা সর্ম্পকীয় মঞ্জু নামের একজনকে ফোন দিয়ে রুবেল জানায়, মামা আমাকে শরীফ, কবীর, ইব্রাহিম কেবিন থেকে নামিয়ে মারধর করছে। আমাকে বাঁচাও। এরপর থেকে রুবেলের ফোন বন্ধ রয়েছে এবং সোমবার পর্যন্ত রুবেলের কোন খোঁজ মেলেনি।
পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন, রুবেলকে মারধর করে সম্ভবত: নদীতে ফেলে দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানায়, রুবেল অত্যন্ত নিরিবিলি ও শান্ত স্বভাবের ছিল। ঢাকায় প্লেনসিটের দোকানে কাজ করে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতো।
রুবেলের ছোট ভাই অভিযোগ করেন, বিষয়টি বাউফল থানাকে জিডি আকারে জানাতে গেলে তারা সেটি গ্রহণ করেননি।
পারাবাত-১৪ লঞ্চের ইন্সেপেক্টর আবদুল কাদের মিয়া জানান, মারামারি কিংবা নদীতে ফেলে দেয়ার মতো কোন ঘটনা লঞ্চে ঘটলে আমরা জানতাম অথবা আমাদেরকে কেউ না কেউ জানাতো। রুবেলের ঠিক কি হয়েছে সেটা আমরাও বলতে পারছি না।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চের ষ্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি। এমন ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। লঞ্চে এমন ঘটনা ঘটলে শত শত যাত্রীদের মধ্যে একটি প্রতিক্রিয়া হতো। তবে রুবেলের নিখোঁজ হওয়াটা রহস্যজনক। আমরা আমাদের মতো করে বিষয়টি দেখছি।