নোয়াখালীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
নোয়াখালীতে গত ১২ ঘণ্টায় ৩ সে.মি বন্যার পানি কমেছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে জেলার লক্ষাধিক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় আমন ধানের চারা, শাক-সবজি, মাছের ঘের ডুবে গেছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে দুর্গত এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ।
বন্যা কবলিত এসব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। তবে এখনো অনেক জায়গায় সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন বানভাসি মানুষ।
শনিবার দুপুরে জেলার সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে জাতীয়বাদি দল বিএনপি, ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ২৭ বছরের রেকর্ড ভেঙে বিপৎসীমার ওপরে গোমতীর পানি
এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির, যুবদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. সায়েম আল মনসুর, নোয়াখালী শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী খান, ড্যাব নোয়াখলীর সভাপতি ডা. সানাহ উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডা. মাসুম আক্তার, ডা. মোয়ার হোসন, ডা. রাকিবুল হাসান মুরাদসহ বিএনপি, অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমির ফয়সাল বলেছেন, গত ১২ ঘণ্টায় জেলায় ৩ সে.মি বন্যার পানি কমেছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যায় এখনো ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জায়গায় লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ বন্যায় কবলিত মানুষের মাঝে শনিবার সকাল থেকে ১২০০ মে.টন চাউল, ২০ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।