নোয়াখালীতে গরম পানি নিক্ষেপ করে শিশুকে হত্যা চেষ্টা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে মিফতাহুল জান্নাত তামারা (১০) নামের এক শিশুকে গরম পানি ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত মিফতাহুল জান্নাত তামারা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোলাম ছারওয়ারের মেয়ে। জান্নাত বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে এই ঘটনায় কোম্পানিগঞ্জ থানায় ১০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জান্নাতের মা দৌলত আরা বেগম। এর আগে গত ১৫ আগস্ট সকালে নিজ বাড়ির সামনে শিশু জান্নাতের ওপর এই নৃশংস ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় রিকশাভ্যানের ২ যাত্রী নিহত
মামলার এজহারে জান্নাতের মা দৌলত আরা বেগম জানান, স্থানীয় মুছাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে জনহীন পেয়ে প্রতিনিয়ত সম্মানহানি করে আসছে। গত ১৪ আগস্ট সকালে আমির হোসেনের নির্দেশে তার পরিবারের সদস্য সুলতানা আবিদা, রাবেয়া, পুলক, প্রান্তসহ সঙ্গবদ্ধ গ্রুপ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বসত ঘরে হামলা করে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, ঘটনার পরের দিন ১৫ আগস্ট সকালে তার স্বামী গোলাম ছারওয়ার তাদের শিশু কন্যা মিফতাহুল জান্নাত তামারাকে নিয়ে বাড়ির পাশের দোকানে যাওয়ার সময় আমির হোসেন ও তার সঙ্গীয় সহযোগীরা তাদের পথরোধ করে গোলাম ছারওয়ারকে লক্ষ্য করে গরম পানি নিক্ষেপ করে। এসময় গোলাম ছারওয়ার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা শিশু জান্নাতের মাথায়ও গরম পানি ঢেলে পালিয়ে যায়। এতে জান্নাতের মাথা, মুখ, বুব, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জ্বলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে জান্নাতের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখা দেয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে।
শিশু জান্নাতের বাবা গোলাম ছারওয়ার জানিয়েছেন, তিনি এবং তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। জান্নাত এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী থানায় অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।