বরিশাল শেবাচিম উপাধ্যক্ষসহ ১২ চিকিৎসক অবাঞ্ছিত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধীতাকারীদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে নগরীর শেবাচিম ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় উপাধ্যক্ষসহ ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) শিক্ষার্থীরা।
এসময় শেবাচিম উপাধ্যক্ষসহ ৮ জন চিকিৎসকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি হাসপাতালের ৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ ২ বছরের জন্য স্থগিতের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। এসব চিকিৎসকদের ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি পেশ করে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম ৮ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এছাড়া ৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
অভিযুক্ত চিকিৎসকগণ:
- ডা. সুদীপ হালদার: সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক্স)
- ডা. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত: আবাসিক সার্জন (অর্থোপেডিক্স)
- ডা. শিরিন সাবিহা তন্বী: মেডিকেল অফিসার (ব্লাড ট্রান্সফিউশন ইউনিট)
- ডা. এ.এস.এম সায়েম: ইন্টারনাল মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন ইউনিট-৪)
এছাড়া, দুজন বহিরাগত চিকিৎসককে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন, হাসপাতালটির সাবেক পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এবং মেডিকেল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ডা. এস.এম. সরোয়ার।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকদের পাশাপাশি ৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক সরাসরি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের তালিকা করে তা সরকারি সংস্থার কাছে প্রদান করেছে। এছাড়া আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে এসব চিকিৎসকরা নৈতিকভাবে তাদের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে বলে মনে করছি।
অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকগণ:
- ডা. মহসীন বিভা
- ডা. আরিফুজ্জামান ইমন
- ডা. সাদমান বাকির সাবাব
- ডা. প্রীতম দেবনাথ
- ডা. অর্ঘ্য বিশ্বাস
- ডা. আসিফুল ইসলাম
উল্লেখিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকগণ উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গকে তাদের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে বলে মনে করেন এবং তাদের ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। তাছাড়া, এসব ব্যক্তিদের দ্রুত বদলির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।