খালেদা জিয়ার প্রতীকী সাজের কারণে ঝড় বয়ে যায় স্কুলছাত্রীর পরিবারে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নারীর অবদান তুলে ধরতে বিভিন্ন বিশিষ্ট নারীর প্রতীকী সাজে সজ্জিত হয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে লক্ষ্মীপাশা দি লিটল সেইন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী আননূর জাহান তাহা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীকী রূপে সাজেন। এই ঘটনায় তাহা এবং তার পরিবার বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. তসলিম উদ্দিনকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী শোকজ করেন। শোকজ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্কুলের ডিসপ্লেটি মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এর ফলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে, স্থানীয় পৌরসভায় কর্মচারী ও তাহার বাবা সাময়িক বরখাস্ত হন। তাহা তখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পর তাহার পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয় এবং দীর্ঘদিন তাদের বাসা ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকির মুখে তাহার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাহা বলেন, মত প্রকাশের অধিকার চাই। স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার চাই। তাহার মা, হালিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে আমাদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাহা এবং তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জানান, তাহার পরিবারের পাশে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
আরো পড়ুন: যেভাবে ও যাদের মাধ্যমে বস্তার বস্তা টাকা নিতেন আমু
বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, তখন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠান প্রধান সন্তোষজনক জবাব দেয়ায় আর কোনো কিছু হয়নি।
এই ঘটনার ফলে প্রশ্ন উঠে, রাজনৈতিক পরিচয় ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। স্কুলে নারীর অবদান তুলে ধরার উদ্দেশ্যে করা কার্যক্রমে কেন এভাবে প্রতিক্রিয়া আসছে, তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভাবনা চিন্তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।