পাইকগাছার কপোতাক্ষের বাঁধে ভাঙন, মারাত্মক ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
খুলনার পাইকগাছার কপোতাক্ষের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কপোতাক্ষ পাড়ের হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা।
গত সোমবার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খননকৃত মরিচ্চাপ নদীর আটকানো বাঁধ ভেঙে গেলে ওই নদীর পানি সরাসরি আঘাত করে পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র সংলগ্ন খননকৃত কপোতাক্ষ নদের বাঁধে। টানা ৩ দিনের পানির আঘাতে বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়।
ইতোমধ্যে বাঁধের দুইশ ফুট এলাকাজুড়ে অনেকটাই নদীতে ধ্বসে গিয়েছে এবং একাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও ভাঙন রোধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
আরো পড়ুন: শামীম ওসমানসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
দেবদুয়ার গ্রামের তোরাব হোসেন খান জানান হঠাৎ মরিচ্চাপ নদীর পানির চাপের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হাচিমপুর আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা বেবী বেগম বলেন বাঁধ ভেঙে গেলে সর্বপ্রথমে আমরা আবাসনের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা ৬০ পরিবার বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হাচিমপুর, দেবদুয়ার, শাহপাড়াসহ চাদখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুটি ইটভাটা, আবাসন ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ও রয়েছে। জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে জানান দেবদুয়ার গ্রামের আমিনুর রহমান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার বলেন, যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এটি মূল বেড়িবাঁধ নয়। এরপর ও এলাকার ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে পাউবোর এ কর্মকর্তা জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ভাঙ্গনের বিষয় নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সাতক্ষীরা জেলা ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাহী এ কর্মকর্তা জানান।