২৫০ টন চাল আত্মসাৎ: খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৯ এএম

ছবি: সংগৃহীত
সরকারী খাদ্য গুদামের ২৫০ টন চাল আত্মসাতের ঘটনায় গা ডাকা দেয়া সেই কুখ্যাত গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়ন হয়ে সীমান্তে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর)বাদী হয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক কালীগঞ্জ থানায় গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এ ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। দুই দফায় অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎ হওয়া চালের মাত্র সাড়ে ৫৪ মেট্রিক টন উদ্ধার করা হয়েছে বলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা(ওসি এলএসডি) খাদ্য পরিদর্শক ফেরদৌস আলম গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতের আঁধারে ২৫টি ট্রলিতে করে গুদাম থেকে ২৫০ মেট্রিক টন চাল সরিয়ে ফেলে গা ডাকা দেন। বর্তমান বাজারে যার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
শুক্রবার সকালে এমন গোপন খবরে জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে গুদামে অভিযান চালান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম। গুদামে চালের হিসাবে গড়মিল ও কর্মকর্তা গা ডাকা দেয়ার ঘটনায় গুদাম সিলগালা করা হয়। সৃষ্ট ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়। প্রকৃত ঘটনা জানতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন এবং আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আত্মসাতের চাল উদ্ধারে অভিযান চালায় উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। শুক্রবার উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সুকানদিঘী এলাকার চালকল মালিক একরামুল হকের গুদাম থেকে ৩০ মেট্রিক টন ওজনের ৬০০ বস্তা চাল উদ্ধার করেন।
এসময় গুদাম মালিক পলাতক থাকায় তাকে পাননি অভিযানিক দলটি। ঐ দিন রাতে উপজেলা সদরের তুষভাণ্ডার রওশন ফিলিং স্টেশন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক থেকে সাড়ে ২৪ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করে জব্দ করেন কালীগঞ্জ ইউএনও জহির ইমাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, পলাতক থাকা গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ দুদকেও মামলা দায়ের করা হবে। যেসব গুদাম থেকে দুই দফায় চাল উদ্ধার করা হয়েছে সেই গুদাম মালিকদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আত্মসাৎকৃত বাকি চাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।