আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
অনিয়মটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর তিনি। স্বভাবতই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেখানে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যেখানে তার কথাই নিয়ম।
আব্দুল মালেকের কথার বাইরে কোনো শিক্ষক কথা বলতে গেলেই একটি গ্রুপ চড়া হয়। এতে অধ্যক্ষের সরাসরি ইন্ধন রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের পরও সেখানে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছেন তিনি।
এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে, গত ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই নেতা বাটন তালুকদার ও নাসিরের সহযোগিতায় ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সপদে বহাল আছেন অধক্ষ্য আব্দুল মালেক। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে।
অভিযোগগুলো হলো ডিগ্রী সেকশনের ৫ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন অধক্ষ্য আব্দুল মালেক। এছাড়া আরো ১২ জন শিক্ষকের কাছ থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা করে নিয়েছেন তিনি। এখনো তাদের কাছে আরো টাকা দাবি করছেন।
শিক্ষকরা এ ব্যাপারে মুখ খুললেই অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক বাহিনীর রোষানলের শিকার হন। বর্তমানে কলেজের সভাপতি দায়িত্বে আছেন ব্যাটন তালুকদার। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর সারাদেশে যেভাবে লুটপাট, হত্যা হয়েছে। আমার এখানে সেরকম কিছু হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিন্সিপাল আব্দুল মালেক বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি সবকিছু ম্যানেজ করে চলছি। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করারও অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমরা অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা বলেন, প্রিন্সিপালের দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। আপনারা যা কিছু দেখছেন এবং শুনছেন তা দিবালকের মতো সত্য। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দিব।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে একই অভিযোগ পাওয়া যায় অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে। তারা বলেন, আমাদের এলাকার প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে আমাদের অঞ্চলকে সুন্দর করতে সহযোগিতা করবে। কিন্তু উল্টো এখন অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং এলাকার বদনাম চারদিকে ছাড়াচ্ছে। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।