অনিশ্চয়তার মুখে কলাপাড়ায় শুটকি ব্যবসায়ীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২০, ০৩:২৮ পিএম

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজলার পর্যটন কেদ্র কুয়াকাটায় মুখ থুবরে পরেছে শুটকি ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছর শুটকি ব্যববসায়ীরা লাভ হলেও এবার শুরুটা হয়েছে ব্যবসায়িক ক্ষতি ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে। গত তিন মাস ধর শুটকি ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার লোকসান দিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি সরকারি প্রণোদনা তথা এ ব্যবসার সাথ জড়িতদের স্বপ্ল সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে বিক্রি হচ্ছে না শুটকি মাছ। ২৫ থেকে ৩০ কাটি টাকার শুটকি মাছ নষ্ট হয়ে পরে রয়েছে। ফলে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছে শুটকি ব্যবসায়ীরা। রপ্তানী করার জন্য বিগত বছরগুলোর মতো প্রস্তুতি নিলেও মৌসুমের শুরুতেই নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে। পাঁচ মাস ধরে লকডাউন থাকার কারণে কোথাও মাছ রপ্তানী করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। এমন অবস্থায় একদিকে ব্যাংকর লোন পরিশোধের দুশ্চিন্তা অন্য দিকে নতুন করে মহাজনের কাছ থেকে দাদনের ফাঁদে শুটকি ব্যবসায়ীরা। তারা আর্থিক প্রণোদনা না পেলে তাদের বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরই ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়ছেন শুটকি ব্যবসায়ীসহ আড়ৎদাররা।
হতাশার মাঝেও শুটকি পল্লীতে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় কারিগরসহ দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মজীবিরা। মাচন (মাচা) তরি করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাকতিকভাবে তরি করা হয় এখানকার শুটকি পল্লীতে। গুনগত মান বজায় থাকার কারণে কুয়াকাটার শুটকির চাহিদা ব্যাপক। দেশের বিভিন্ন স্থানসহ ভারত,চায়না শুটকি রফতানি করা হয় থাকে। এই পল্লীত প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় অক্টাবর মাসে শেষ হয় মার্চ মাসে।
স্থানীয় শুটকি ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন জানান,শুটকি ব্যবসায় প্রচুর মূলধন লাগে। মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই প্রায় সকল ব্যবসায়ীরা নিজদের মূলধনের পাশাপাশি ধার করে লক্ষ লক্ষ টাকা এনে মাছ কিনে শুটকি করে এ ব্যবসা চালু করেন। এখান থেকে কিছু মাছ স্থানীয় শুটকি মার্কেট বিক্রি হয় বেশির ভাগ রপ্তানী হয় বিভিন্ন দেশে। এবার করোনা ভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ শুটকি বিক্রি না হওয়ায় আমার ৭-৮ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে।
শুটকি মার্কট ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ জানান, আমাদর এই মার্কেটে প্রতিটা দোকান ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ পড়ে আছে কোন বিক্রি নেই। যে পরিমাণ লোকসান হচ্ছে তাতে কিভাবে ক্ষতি পূরণ করবো তা আমরা জানিনা।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুনবী জানান,কুয়াকাটা থেকেই প্রতি বছর ১৫০-২০০ কোটি টাকার মত শুটকি দেশে ও দেশের বাহিরে বিক্রি হয়। নিরাপদ ও মান সম্পন শুটকি উৎপাদনের জন্য কুয়াকাটার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি যাতে সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় শুটকি ব্যবসায়ীরা আসতে পারে।