আদিতমারীতে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স দেয়ার নামে চলছে ঘুষ বাণিজ্য

রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম

ছকমাল হোসেন
লালমনিরহাটের আদিতমারী ফুড অফিসের ক্যজুয়ালী কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছকমাল হোসেনের (৫৮) বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে আগাম ফুড গ্রেইন লাইসেন্সের জন্য প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আদিতমারী উপজেলার ফুড অফিসে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ফুড অফিসের ক্যাজুয়ালী কর্মচারী ছকমাল হোসেনের বাড়ী উপজেলা পরিষদের পাঁশে হওয়ায় তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না। তার ইচ্ছে মতো কাজ করেন এলাকার প্রভাব খাঁটিয়ে। তিনি যে কোনো কাজে এভাবেই প্রকাশ্যে উৎকোষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সরকারি নীতিমালা অনুয়ায়ী, লাইসেন্সের জন্য খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত ফরমে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হয়। এরপর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর আবেদনকারীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবেন। পরবর্তীসময়ে কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে লাইসেন্স দেয়া হবে।
কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে, আদিতমারী ফুড অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছকমাল হোসেন ফুড গ্রেইন লাইসেন্স দেয়ার নাম করে কয়েক দিন ধরে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আবেদনকারীর সবার নিকট থেকে প্রকাশ্যে নিচ্ছেন নগদ টাকা।
ফুড গ্রেইন লাইসেন্সের এক আবেদনকারী বলেন,আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৪ জন ডিলার নিয়োগের বিপরীদে প্রায় ২৪০/২৫০ জন আবেদন করেছে। কিন্তু বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগে যদি এত তোড়জোড় হয় তাহলে বিজ্ঞাপন প্রকাশ হলে এর সংখ্যা দ্বীগুন হতে পারে। আবেদনকারীর সংখ্যা কত তা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে জান ছকমাল হোসেন। লাইসেন্স দেয়ার নাম করে প্রতিজনের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়েছেন ছকমাল হোসেন।
টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছকমাল হোসেন বলেন, ফুডগ্রান্ট লাইসেন্স যে দেবে তার জন্যেই টাকা নেয়া হচ্ছে। টাকা জমা দেয়ার কোনো ডকুমেন্ট বা রশিদ দেয়া হয় না। লাইসেন্সটাই রশিদ।
এই বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা ফুড অফিসার হাসিনা বেগম ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা অফিসিয়ালি এখনো ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিনি। তারা কেনও টাকা নিচ্ছে,তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।