টাঙ্গুয়ার হাওর যেন ‘গরিবের পুত্রবধূ’

রাসেল আহমদ, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম

পর্যটনের নামে দিন-রাত হাওর জুড়ে অসংখ্য বড় ইঞ্জিন নৌকা ও বিলাসবহুল ‘হাউজবোট’ চলাচল করছে। ছবি: ভোরের কাগজ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে দেশের বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর। টাঙ্গুয়ায় হেমন্তে ২৪ হাজার ২৫ একর জমিতে পানি থাকে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গুয়ার হাওর প্রায় ১৪১ প্রজাতির মাছ, ১২ প্রজাতির ব্যাঙ এবং ১৫০ প্রজাতির বেশি সরীসৃপের সমন্বয়ে জীববৈচিত্র্য গড়ে উঠেছিল। শীতকালে টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২৫০ প্রজাতির অতিথি পাখির বিচরণ ঘটত একসময়।টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়গুলো দেখা যায়। সেখান থেকে প্রায় ৩০টি ছোট বড় ঝর্ণা বা ছড়া টাঙ্গুয়ার হাওরে এসে মিশেছে।
জানা যায়, বিশাল আয়তনের টাঙ্গুয়ার হাওরকে ১৯৯৯ সালে সরকার ইকোলজিকাল ক্রিটিকাল এরিয়া(ইসিএ) বা বিপন্ন প্রতিবেশ এলাকা এবং ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক ‘রামসার সাইট’ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর সঠিক পরিচর্যা নেই, মানা হচ্ছে না রামসার নীতিমালাও। টাঙ্গুয়ার হাওর বিরল প্রজাতির মাছ ও অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্য ছিল। কিন্তু এর অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। ২৬ প্রজাতির প্রাণির আবাসস্থল হাওর পরিচর্যা ও তদারকির অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে করে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই হাওর তিলে তিলে নিঃশেষ হতে চলেছে। ইদানীং পর্যটনের নামে দিন-রাত হাওর জুড়ে অসংখ্য বড় ইঞ্জিন নৌকা ও বিলাসবহুল ‘হাউজবোট’ চলাচল করছে।
এতে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই হাউজবোটগুলো প্রতিদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা হাওর। এতে ধ্বংস হচ্ছে মাছের সর্ববৃহৎ এই অভায়াশ্রম। দেশের অনন্য সম্পদ টাঙ্গুয়ার হাওর মৎস্য ও জীববৈচিত্র্যের আধার ছিল। একে বলা হতো ‘মাদার ফিশারিজ’। হাওরের প্রায় ৬৭ ভাগ এলাকা মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ও বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে অবস্থিত।
জানা যায়, মিঠা পানির দেশীয় মাছের সবচেয়ে বড় প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত টাঙ্গুয়ার হাওরে ছিল ১৪১ প্রজাতির মাছ। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যারিটাইম ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত গবেষণায় টাঙ্গুয়ার হাওরে দেশি মাছের প্রজাতি কমে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, বাচা, কাজলি, বাতাসি, লাল খলশে, চুচিয়া, ঢেলা, মলা, মহাশোল, গাংমাগুর, চিতল, রিঠার মতো দেশি মাছগুলোর কিছু একেবারেই জেলেদের জালে উঠছে না, আর কিছু প্রজাতির মাছ জালে উঠলেও তার সংখ্যা খুব কম।
এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের দেশি মাছ রক্ষায় সরকারকে এখানে অবৈধ ও অতিরিক্ত মাছ শিকারের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে হাওরের অবশিষ্ট মাছের দ্রুত বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে। ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি স্ট্যাটাস অব ফিশ জেনেটিক রিসোর্সেস অ্যাট টাঙ্গুয়ার হাওর ওয়েটল্যান্ড ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগে এ হাওর থেকে স্থানীয় জেলেরা ১৪১ প্রজাতির মাছ ধরতেন, তা কমে এখন মাত্র ৫৮তে নেমে এসেছে।
উপজেলার সানুয়া গ্রামের প্রবীণ জেলে জয়চরন বর্মন বলেন, আগে তো এখানে নৌকার সঙ্গে এসে চিতল মাছ ধাক্কা খেত। এখন জাল ফেলেও পাওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, আগে সারা বছর মাছ মিললেও এখন আর তা নেই। গত কয়েক বছরে দ্রুত কমেছে মাছের উৎপাদন। কারণ হাওরে ইঞ্জিন নৌকার শব্দে মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে মাছের বংশ বৃদ্ধি হয় না।
সিলেট এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির অ্যাকুয়াটিক রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু বলেন, ‘হাওরে নিষিদ্ধ সামগ্রী দিয়ে অতিরিক্ত মাছ শিকারের কারণে মাছের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। অন্যদিকে বর্ষাকালে ভারতের মেঘালয় থেকে বৃষ্টির পানি হাওরে নেমে এলে পানি ঘোলা হয়ে যায়। মেঘালয়ের কোল মাইনিংয়ের ময়লা এ পানির সঙ্গে সুনামগঞ্জের হাওরের ওপর পড়লে পানি দূষিত হয়। আবার বর্তমানে টাঙ্গুয়ার হাওরে বড় বড় হাউসবোটে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য যেমন বছরের একটি সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে, একইভাবে টাঙ্গুয়ার হাওরেও বছরের একটি সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করতে হবে। হাওরে অতিরিক্ত মাছ শিকার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
একসময় টাঙ্গুয়ার হাওরের বিস্তীর্ণ জলরাশি, জলের ওপর ভেসে থাকা হিজল-করচ, বরুন, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলসী, নলখাগড়া, বল্লুয়া, চাল্লিয়া, শালুক আর শাপলা প্রভৃতি গাছ-গাছালিতে সারা বছরই ছিল দেশীয় নানান জাতের পাখির কল-কাকলী। এছাড়াও শীতকালে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে প্রায় ২৫০ প্রজাতির লাখ লাখ অতিথি পাখি আসতো এখানে। তবে এখন নেই পাখিদের কল—কাকলী, আসছে না আগের মতো অতিথি পাখি। তবুও এই হাওরে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে টাঙ্গুয়ায় পর্যটক সমাগম অনেকগুণ বেড়েছে। একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের চাপ এবং বেশিরভাগ পর্যটকের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি উদাসীনতার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সংরক্ষিত এই জলাভূমি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সারাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের নৌকা এসে ভিড় করে মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলা সদরে। সেখান থেকে পর্যটকরা নৌকা ভাড়া করে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করেন এবং অনেকেই রাতে নৌকাতেই রাত্রিযাপন করেন। এছাড়াও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা এই টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরে গিয়ে সাউন্ড বক্স দিয়ে গান-বাজনা করেন। খাবারের প্লাস্টিক প্যাকেট ফেলে দেন হাওরের পানিতে। পর্যটকবাহী ইঞ্জিন নৌকার কারণেও দূষিত হয় হাওরের পরিবেশ। পর্যটকদের চাপ বাড়ার কারণে হাওরে নেই মাছ ও পাখি।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে নানা দুর্ঘটনায় পর্যটকদের অপমৃত্যু, নাশকতার উদ্দেশ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীর সমবেত কার্যক্রম পরিচালনা, পর্ণগ্রাফি তৈরি কিংবা অন্য কোনো অপরাধ কর্মে ব্যবহারের জন্য হাউস বোটের বাথরুমে স্থাপিত গোপন ক্যামেরা উদ্ধার, হাউসবোট থেকে পর্যটকদের সর্বস্ব চুরির মতো ঘটনাও ঘটেছে।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক গণমাধ্যম কর্মী ও হাওর তীরবর্তী বংশীকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা সাজেদা আহমেদ বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর এখন মাছ, গাছ, পাখির অভয়ারণ্য নেই। টাঙ্গুয়ার হাওর এখন পর্যটন এলাকা। তাই এটি মাদক,জঙ্গি, যৌনতা ও অপরাধের অভয়ারণ্য হয়েছে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে কর্মরত ইউএসএআইডি ইকোসিস্টেমস এ্যাক্টিভিটি’র কর্মকর্তা ইয়াহিয়া সাজ্জাদ বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরেরট্যুরিজম ব্যবসা জীববৈচিত্রের ও প্রতিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। হাওরে ট্যুরিস্ট ক্যারিং ক্যাপাসিটি বিবেচনা না করে শুধুমাত্র ব্যবসাবান্ধব ট্যুরিজম চালু রয়েছে। এ কারণে হাওরে শব্দ দূষণ, প্লাস্টিক,এমনকি মানব বর্জ্য নদী ও হাওরের প্রতিবেশকে দূষিত করছে। এখনই এই ধরনের প্রতিবেশ বিধ্বংসী ট্যুরিজম বন্ধ করার উপযুক্ত সময়।
হাওরের তীরবর্তী লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা কবি হাজং শ্রী দশরথ চন্দ্র অধিকারী বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর এখন ‘গরীবের পুত্রবধূ’। এ নিয়ে ছেলেখেলা চলছে ২০০০ সাল থেকে। দেশি-বিদেশি অনেক সংগঠন ও সংস্থা সময়ে সময়ে বিভিন্ন বাহারী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে টাঙ্গুয়ার হাওরে কাজ করেছে। এসব তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্পের ফলাফল হচ্ছে আজ টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ শূন্য, পাখি শূন্য, হারিয়ে গেছে হাওরটির জীব—ও প্রাণ বৈচিত্র্য। এখন সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন শিল্পের বিকাশে নেয়া হচ্ছে পদক্ষেপ। যা শুধু হাওরের জন্য নয়, আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্যই ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।
গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ বলেন, হাওরের মতোপ্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল বাস্তুতন্ত্রে পর্যটন কেমন হবে সে বিষয়ে আমাদের কোনো নীতিমালা নাই। কোন ঋতুতে প্রতিদিন কতজন পর্যটক, কতগুলি এবং কি ধরনের নৌযান হাওরে প্রবেশ করতে পারবে তার একটা সীমা থাকা জরুরি। পর্যটনের ফলে প্লাস্টিকসহ নৌযানের তেলের মাধ্যমে হাওরে যে বর্জ্য জমছে তা পানির প্রবাহে নতুন বাধা সৃষ্টি করবে। পাহাড়ি ঢলে হাওর তলিয়ে সংকট আরও বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার সাইট-সনদ অনুযায়ী রামসার এলাকায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। জলচর পাখি, জলজ জীব, গাছপালা সবার জীবনে এই প্রভাব পড়বে। স্থানীয় হাওরবাসীর সাথে এক সাংস্কৃতিক দূরত্ব ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। কাটাগোলাপ, বনতুলসী, মনকাটা, মাখনা, করচ, হিজল, বরুণ, নল, বিন্যাছুবা এইধরনের গাছ খুব সংবেদনশীল। পানি ও মাটি দূষিত হলে খুব অচিরেই হাওর এমন প্রাণী সম্পদ হারাবে। '
এদিকে গত ২৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সুনামগঞ্জে সফরকালে টাঙ্গুয়ার হাওরে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন , হাওর বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও নাই, টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার সাইট, এটাকে বাঁচিয়ে রেখে কাজ করতে হবে। হাওরে স্থানে স্থানে রাস্তা করায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাওরই যদি না থাকে, তাহলে হাওরের রাস্তা দিয়ে কি করবো আমরা?
তিনি আরো বলেন, ‘হাওরে যেভাবে পলিথিন দেখলাম, এসব বিষয়ে আমরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। হাওরের পরিবেশ-প্রকৃতি কীভাবে ঠিক থাকবে, তা নিয়ে একটি পরিকল্পনা করছি।' উল্লেখ করে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে ট্যুরিজম কার্যক্রম চলবে, তবে তা নিয়ন্ত্রিত এবং পর্যাপ্ত নজরদারির মধ্যে থাকবে।
হাওরের পর্যটন নিয়ে তিনি বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর পর্যটন জোন হিসেবে থাকবে, তবে সেটি নিয়ন্ত্রিত। কতো লোক আসতে পারবে, কতো টুরিস্টবোট চলতে পারবে, হাউজবোট কোন নিয়মগুলো মেনে চলবে, প্লাস্টিক পলিথিন আনবে কিনা, জোরে জোরে গান বাজাবে কিনা, এগুলো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ইতিমধ্যে এই কার্যক্রমগুলো যারা করে তাদের কাছ থেকে আমরা কিছু পরামর্শ নিয়েছি। জেলা প্রশাসককে সকলকে নিয়ে মতবিনিময় করে ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে একটি প্রয়োগযোগ্য বিধিমালা করে দেবারও পরামর্শ দেন তিনি।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে ভোরের কাগজকে বলেন, 'টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন ও জীববৈচিত্র্যের বিষয়ে উপদেষ্টা যে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, আমরা তা যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ভূমিকা গ্রহণ করবো। তিনি আরো বলেন, 'মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক তিন বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি স্টাডি চলমান রয়েছে।'