চৌগাছায় নিখোঁজের তিনদিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

যশোর শহর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পিএম

রাবেয়া বেগম
যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের তিনদিন পর গৃহবধূ রাবেয়া বেগমের (৪৮) লাশ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাঘারদাড়ি গ্রামে প্রতিবেশির নলকূপের ডোবা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত রাবেয়া বেগমের (৪৮) বাঘারদাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী। লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, সম্প্রতি প্রতিবেশি তামিমের কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন রাবেয়া বেগম। সেই পাওনা টাকার জন্য তামিম চাপ দেন। তাৎক্ষনিকভাবে পাওনা টাকা দিতে না পারায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টার দিকে প্রতিবেশির বাড়িতে টেলিভিশন দেখে ফেরার বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন রাবেয়া বেগম। তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশি তাজুল ইসলামের বাড়ির পাশে রাবেয়া বেগমের ব্যবহৃত একটি জুতা ও ছোট টর্চ লাইট পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা।
সেখানে খোঁজ করে দেখেন নলকূপের পানি ফেলা গর্তে রাবেয়া বেগমের ওড়নার কিছু অংশ ভেসে আছে। এসময় গর্তে থেকে নিহতের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) জুয়েল ইমরান।
নিহতের ছেলে আলামিন জানান, পাঁচ মাস আগে প্রতিবেশি তাজুল ইসলামের ছেলে তামিমের সাথে আমাদের পারিবারিক ঝগড়া হয়। এ সময় তামিম গাছিদা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। একই সাথে বিভিন্ন হুমকি দেয়। তামিমদের নলকূপের গর্তে মায়ের লাশ পাওয়া গেছে। এই হত্যার সাথে তামিম ও তার পরিবারের লোকজন জড়িত। এ ঘটনার পর তারা পলাতক রয়েছে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পায়েল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাবেয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।