ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর খাবার ও শীতবস্ত্র পাঠালেন জেলা প্রশাসক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম

আদিতমারী উপজেলার দক্ষিণ বত্রীশ হাজারী গ্রামের ৮০ ঊর্ধ্ব আবলা বেওয়া। ছবি: ভোরের কাগজ
‘আল্লা তোমার স্যারের ভালো করবে বাবা, এলা আইতোত মোক আর ঠাণ্ডা নাইকবার নয়’ কম্বল ও শুকনা খাবারের প্যাকেট পেয়ে খুশিতে গড় গড় করে কথাগুলো বললেন শীতে কষ্ট পাওয়া আদিতমারী উপজেলার দক্ষিণ বত্রীশ হাজারী গ্রামের ৮০ ঊর্ধ্ব আবলা বেওয়া। বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে ভোরের কাগজ অনলাইনে ‘খুব জাড় নাগোছে বাহে মোক একটা কম্বল দেও’ শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ হয়।
এরপরেই প্রতিবেদনটি দৃষ্টিগোচর হলে নবনিযুক্ত লালমনিরহাট জেলার প্রশাসক (ডিসি) এইচ এম রকিব হায়দার আদিতমারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে আবলা বেওয়ার বাড়িতে তাৎক্ষণাৎ শুকনা খাবার ও শীতবস্ত্র পাঠানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ভাদাই ভূমি অফিসের ইনচার্জ ও সহকারী কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তিনজন রাত সাড়ে ৯টায় তার বাড়িতে এসে সেগুলো দেন।
জেলা প্রশাসকের এমন উদ্যোগ দেখে ওই এলাকার বিমিষ্ট ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের লোকজন দক্ষিণ বত্রীশ হাজারী গ্রামের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওই এলাকার লোকজন বলেন, সত্যি এ জেলার সাধারণ মানুষ এবার একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান জেলা প্রশাসক পেয়েছেন। আগামীতে এ জেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিস আদালতে যেসব দুর্নীতি হয়েছে তা আর হবে না বলে মন্তব্য করেন তারা।
এ ব্যপারে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচ উপজেলায় ১ হাজার কম্বল দিয়েছি। যেহেতু হিমালয়ের পাশের উত্তরের জনপদের জেলা লালমনিরহাট। তাই প্রতিবছর কনকনে ঠাণ্ডা শীত বেশি হয়। ফলে চাহিদা অনুসারে শীতবস্ত্র কম্বলের বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় চিঠি পাঠিয়েছি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে ওই সব শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্রের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।