মুন্সীগঞ্জে বাড়ছে না সূর্যমুখীর আবাদ

তোফাজ্জল হোসেন শিহাব, মুন্সীগঞ্জ থেকে
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

ছবি : ভোরের কাগজ
আলুর জন্য খ্যাত মুন্সীগঞ্জে সূর্যমুখীর চাষ তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এখানে সূর্যমুখী চাষে মাটি ও আবহাওয়া চাষাবাদের জন্য উপযোগী হলেও আগ্রহ কম কৃষকদের। কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর জেলায় আলুর আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৫৫ হেক্টর। আর এ বছর আলুর লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর। অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সূর্যমুখী আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৩৮ হেক্টরই।
কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে মাত্রা ৩৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করাতে সক্ষম হয়েছে। জেলার মোট ২ শত কৃষককে ১ কেজি করে সূর্যমুখী বীজ ও ২০ কেজি সার কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠেবেন বলে কৃষি অধিদপ্তর মনে করছে। আলুর পাশাপাশি সূর্যমুখী চাষাবাদে লাভের সম্ভাবনাও কম নয়।
জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড হাইসোন-৩৬ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয় ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে ফুল থেকে বীজ ঘরে তোলা যায়।
আরো পড়ুন : ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর লৌহজং পিআইওকে শোকজ
জেলা সদরের আদারা, চর সৈয়দপুর, বাংলাবাজার ও শ্রীনগরের বীরতারা, আটপাড়া, শ্যামসিদ্ধ, এলাকায় সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। জমিতে এসে অনেক মানুষ ছবি তুলে বিনোদন নিচ্ছেন। তা দেখে আমাদের খুবই আনন্দ লাগে। অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত ভোরের কাগজকে বলেন, সূর্যমুখীর চাষ খুবই সহজ এবং এর রোগবালাই অন্য ফসলের তুলনায় অনেক কম। সূর্যমুখীর খৈল গবাদিপশুর উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সেই সঙ্গে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরিষা-সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।